ভিয়েনা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে : শেখ হা‌সিনা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৬ সময় দেখুন

স্টাফ রি‌পোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। জনগণ জানে নৌকায় ভোট দিলে জীবনমান উন্নত হয়। কাজের মধ্য দিয়ে আস্থা অর্জন করি আমরা।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা মাইক লাগিয়ে মিথ্যা কথা বলে। তারা সরকারের সব কিছু খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, কারণ ওই দলের জন্মই অবৈধ উপায়ে। যারা টিকেই আছে মিথ্যা দিয়ে, যাদের শেকড় নেই। তাই বিএনপির মিথ্যা কথায় কান দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে যাদের এত উদ্বেগ দেখিনি। অথচ সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলো। সেই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় ঐক্যজোট মিলে পেয়েছিল মাত্র ২৯টা সিট। পরে আবার একটা সিট পেয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩০টা সিট।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি স্পষ্ট বলে আসছি, ভোটের জন্য আমরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে দিয়েছি। আমি তো এমন না যে নতুন আসছি। স্কুলজীবন থেকে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই জায়গায় এসেছি।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, তারা যখন আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন আমার প্রশ্ন- যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ছিল, যখন আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করেছি, স্লোগান দিয়েছি, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জনগণের ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া, সেটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। তার জন্য আমাদের বহু মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। আমাকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শেখাতে হবে না।

এ দেশে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশ ছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য আর্মি বাই দ্য আর্মি ফর দ্য জেনারেল। আমরা গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল প্রতিষ্ঠা করেছি। এরপর যখন দেশ নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে শুরু করেছে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলেছে তখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে মাতামাতি কেন, তখনই বলতে হয় সন্দেহ হয় রে। আসলে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।তিনি আরো বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, অবাধে সে টাকা খরচ করে যাচ্ছে তারা। আমি স্পষ্ট বলে এসেছি।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতারা, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মোঃ সো‌য়েব মেজবাহউ‌দ্দিন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে : শেখ হা‌সিনা

আপডেটের সময় ০৬:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

স্টাফ রি‌পোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। জনগণ জানে নৌকায় ভোট দিলে জীবনমান উন্নত হয়। কাজের মধ্য দিয়ে আস্থা অর্জন করি আমরা।

যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা মাইক লাগিয়ে মিথ্যা কথা বলে। তারা সরকারের সব কিছু খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, কারণ ওই দলের জন্মই অবৈধ উপায়ে। যারা টিকেই আছে মিথ্যা দিয়ে, যাদের শেকড় নেই। তাই বিএনপির মিথ্যা কথায় কান দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে। সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে যাদের এত উদ্বেগ দেখিনি। অথচ সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলো। সেই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০ দলীয় ঐক্যজোট মিলে পেয়েছিল মাত্র ২৯টা সিট। পরে আবার একটা সিট পেয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩০টা সিট।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি স্পষ্ট বলে আসছি, ভোটের জন্য আমরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে দিয়েছি। আমি তো এমন না যে নতুন আসছি। স্কুলজীবন থেকে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই জায়গায় এসেছি।

তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, তারা যখন আমাদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন আমার প্রশ্ন- যখন মিলিটারি ডিক্টেটর ছিল, যখন আমরা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করেছি, স্লোগান দিয়েছি, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জনগণের ভোটের অধিকার ক্যান্টনমেন্ট থেকে জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া, সেটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। তার জন্য আমাদের বহু মানুষকে রক্ত দিতে হয়েছে। আমাকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন শেখাতে হবে না।

এ দেশে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশ ছিল গভর্নমেন্ট অব দ্য আর্মি বাই দ্য আর্মি ফর দ্য জেনারেল। আমরা গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল প্রতিষ্ঠা করেছি। এরপর যখন দেশ নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে শুরু করেছে, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলেছে তখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে মাতামাতি কেন, তখনই বলতে হয় সন্দেহ হয় রে। আসলে তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়।তিনি আরো বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, অবাধে সে টাকা খরচ করে যাচ্ছে তারা। আমি স্পষ্ট বলে এসেছি।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতারা, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

মোঃ সো‌য়েব মেজবাহউ‌দ্দিন/ইবিটাইমস