ভিয়েনা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী, সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৪৫ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক : কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার এবং যৌথ উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও চীন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ‘জয়েন হ্যান্ডস টু অ্যাক্ট অন দ্য ফোর গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস অ্যান্ড প্রোমোট কমন ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সেমিনারে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

রোববার চীনা দূতাবাস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টার’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ড. এস. এম. আসাদুজ্জামান রিপন, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজসহ আরও অনেকে।

ড. লিউ দু’দেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চীনের চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে মিল রেখে সহযোগিতার বন্ধন গড়ে তোলার আহবান জানান।

পাশাপাশি তিনি উন্নয়ন কৌশল ও অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার মধ্যকার সমন্বয় আরও জোরদারের কথাও বলেন।

এছাড়া চীন-বাংলাদেশের অভিন্ন অগ্রযাত্রায় বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন ড. লিউ। যার ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব।

সেমিনারে বক্তারা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রস্তাবিত চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেগুলো হলো-—উন্নয়ন, নিরাপত্তা, সভ্যতা ও শাসনব্যবস্থা।

বক্তারা বলেন, এসব উদ্যোগ দূরদর্শী রূপরেখা হিসেবে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তারা জানান, ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশ ও চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও সহযোগিতা বজায় রেখেছে।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দেশ দু’টির জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে এবং বন্ধুত্বের এই চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিয়ে যাবে।
ঢাকা/এসএস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী, সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি

আপডেটের সময় ০১:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ইবিটাইমস ডেস্ক : কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার এবং যৌথ উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও চীন।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে ‘জয়েন হ্যান্ডস টু অ্যাক্ট অন দ্য ফোর গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস অ্যান্ড প্রোমোট কমন ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সেমিনারে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

রোববার চীনা দূতাবাস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘আপন ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ সেন্টার’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ড. এস. এম. আসাদুজ্জামান রিপন, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজসহ আরও অনেকে।

ড. লিউ দু’দেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চীনের চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে মিল রেখে সহযোগিতার বন্ধন গড়ে তোলার আহবান জানান।

পাশাপাশি তিনি উন্নয়ন কৌশল ও অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার মধ্যকার সমন্বয় আরও জোরদারের কথাও বলেন।

এছাড়া চীন-বাংলাদেশের অভিন্ন অগ্রযাত্রায় বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দেন ড. লিউ। যার ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব।

সেমিনারে বক্তারা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রস্তাবিত চারটি বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেগুলো হলো-—উন্নয়ন, নিরাপত্তা, সভ্যতা ও শাসনব্যবস্থা।

বক্তারা বলেন, এসব উদ্যোগ দূরদর্শী রূপরেখা হিসেবে বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তারা জানান, ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশ ও চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও সহযোগিতা বজায় রেখেছে।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দেশ দু’টির জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে এবং বন্ধুত্বের এই চেতনাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিয়ে যাবে।
ঢাকা/এসএস