ভিয়েনা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, এক যাত্রীর মৃত্যু টাঙ্গাইলে হাসপাতাল থেকে ১৩ দালাল আটক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বােধন রাহেলা জাকির টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ফরেনসিক দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ইতালি

রাস্তা ছোট, ‘ভোগান্তি’ বড়

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৫:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪
  • ১২ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: রাস্তাটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১ কিলোমিটার। তবে আয়তনে ছোট হলেও ভোগান্তি বড়। কাঁচা এ রাস্তাটির দশা এত বেহাল যে একটুখানি বৃষ্টি হলেই কাদায় পা রাখা যায় না। এভাবেই পেরিয়েছে প্রায় ৪০ বছর,তবুও এ রাস্তাটির দিকে ‘চোখ’ পড়েনি সংশ্লিষ্টদের। প্রতিবাদ স্বরুপ এই রাস্তায় চলাচলকারীরা ধানের চারাও রোপণ করেছেন। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশায় গাড়ি নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা ,হেঁটে চলাচলেরও অবস্থা নেই। এলাকাটিতে রয়েছে প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ্য রোগী ও স্থানীয়রা।

রাস্তাটির অবস্থান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র রয়েড়া থেকে খালফলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে এযাবৎকাল কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে জমে আছে পানি । প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি চাষের জমি। ১ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাস্তা। প্রতিবাদস্বরুপ গ্রামবাসীরা ধানের চারাও রোপণ করছে।

ক্ষুদ্র রয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তায় কাদা হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। রাস্তার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও  কাজ হয়নি। ’
খালফলিয়া স্কুলের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অনেক সময় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রোজদার হোসেন বলেন,‘রাস্তাটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। পাশেই রয়েছে স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির। কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষায় চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আশা করি জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 
জনপ্রিয়

১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

রাস্তা ছোট, ‘ভোগান্তি’ বড়

আপডেটের সময় ০৫:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: রাস্তাটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১ কিলোমিটার। তবে আয়তনে ছোট হলেও ভোগান্তি বড়। কাঁচা এ রাস্তাটির দশা এত বেহাল যে একটুখানি বৃষ্টি হলেই কাদায় পা রাখা যায় না। এভাবেই পেরিয়েছে প্রায় ৪০ বছর,তবুও এ রাস্তাটির দিকে ‘চোখ’ পড়েনি সংশ্লিষ্টদের। প্রতিবাদ স্বরুপ এই রাস্তায় চলাচলকারীরা ধানের চারাও রোপণ করেছেন। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশায় গাড়ি নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা ,হেঁটে চলাচলেরও অবস্থা নেই। এলাকাটিতে রয়েছে প্রায় দুই হাজার লোকের বসবাস। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ্য রোগী ও স্থানীয়রা।

রাস্তাটির অবস্থান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র রয়েড়া থেকে খালফলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে এযাবৎকাল কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে জমে আছে পানি । প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি চাষের জমি। ১ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে গেছে পুরো রাস্তা। প্রতিবাদস্বরুপ গ্রামবাসীরা ধানের চারাও রোপণ করছে।

ক্ষুদ্র রয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আমাদের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তায় কাদা হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। রাস্তার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও  কাজ হয়নি। ’
খালফলিয়া স্কুলের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, বর্ষাকালে কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অনেক সময় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রোজদার হোসেন বলেন,‘রাস্তাটি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত। পাশেই রয়েছে স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির। কিন্তু কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষায় চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আশা করি জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস