ভিয়েনা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মানবাধিকার হরণ করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা-আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:৫০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • ১১ সময় দেখুন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মানবাধিকার হরণ করার কারণে, সরকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে

বাংলাদেশ ডেস্কঃ রবিবার (২৮ মে) বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া সহ জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নেমেছে।” আমীর খসরু বলেন, “বিশ্ব গণতান্ত্রিক সম্মেলনে ১০৭টি দেশ আমন্ত্রণ পেলেও, বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে। এটি এ সরকারের জন্য দ্বিতীয় আঘাত। এ সরকার ভিন দেশ ও সংগঠনের দ্বারা দেশকে অপমানিত করছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের ঘোষণা: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসা নীতির ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করা্র উদ্দেশ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারার অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে”।

তিনি আরো বলেছেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কর্মের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার থেকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যেকোনো রকম ব্যবস্থার ব্যবহার”।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের- ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যারা চায়, তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।”

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন বাংলা সংবাদ মাধ্যম

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মানবাধিকার হরণ করার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা-আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আপডেটের সময় ০৩:৫০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও মানবাধিকার হরণ করার কারণে, সরকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে

বাংলাদেশ ডেস্কঃ রবিবার (২৮ মে) বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে রাস্তায় নেমেছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া সহ জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নেমেছে।” আমীর খসরু বলেন, “বিশ্ব গণতান্ত্রিক সম্মেলনে ১০৭টি দেশ আমন্ত্রণ পেলেও, বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছে। এটি এ সরকারের জন্য দ্বিতীয় আঘাত। এ সরকার ভিন দেশ ও সংগঠনের দ্বারা দেশকে অপমানিত করছে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের ঘোষণা: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের লক্ষ্যে ভিসা নীতির ঘোষণা দিতে গিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, “আমি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করা্র উদ্দেশ্যে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ২১২ (এ) (৩) (সি) (‘৩সি’) ধারার অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে”।

তিনি আরো বলেছেন, “গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কর্মের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার থেকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যেকোনো রকম ব্যবস্থার ব্যবহার”।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের- ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়ার। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যারা চায়, তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।”

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন বাংলা সংবাদ মাধ্যম

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস