ভিয়েনা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পতিত জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • ২১ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে উপজেলায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে এই উপজেলায়।

কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আহমদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে ১০ বিঘা পতিত জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন একই এলাকার কৃষক ফারুক মোল্লা। বর্তমানে বিক্রির যোগ্য হয়েছে তার জমির তরমুজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ জন শ্রমিক ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলার কাজ করছেন। সেখান থেকেই পাইকারি ধরে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন কারবারিরা।
এ বিষয়ে কৃষক ফারুক মোল্লা জানান, ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে তার খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় ৭ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর চুনারুঘাট উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১২৮ বিঘা বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এখান থেকে ১ হাজার ৫০ টন তরমুজ উৎপাদন হবে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পতিত জমিতে উচ্চমূল্যের ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল আবাদে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এটি লাভ জনক হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া কারিগরি সহায়তা তরমুজের বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পতিত জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

আপডেটের সময় ০১:১৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে উপজেলায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে এই উপজেলায়।

কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আহমদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে ১০ বিঘা পতিত জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন একই এলাকার কৃষক ফারুক মোল্লা। বর্তমানে বিক্রির যোগ্য হয়েছে তার জমির তরমুজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ জন শ্রমিক ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলার কাজ করছেন। সেখান থেকেই পাইকারি ধরে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন কারবারিরা।
এ বিষয়ে কৃষক ফারুক মোল্লা জানান, ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে তার খরচ হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় ৭ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর চুনারুঘাট উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১২৮ বিঘা বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এখান থেকে ১ হাজার ৫০ টন তরমুজ উৎপাদন হবে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পতিত জমিতে উচ্চমূল্যের ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল আবাদে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এটি লাভ জনক হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া কারিগরি সহায়তা তরমুজের বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস