নাবিকরা লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানানোর দায়ে জাহাজটিকে ২০ দিনের জন্য আটক করেছে ইতালি
ইউরোপ ডেস্ক শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এতথ্য জানিয়েছে। চলমান সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে এই আটকাদেশ দেয় ইতালি সরকার।
জাহাজটি বর্তমানে ইতালির অর্তোনা বন্দরে নোঙ্গর করা অবস্থায় আছে। একইসঙ্গে জাহাজটিকে ১০ হাজার ইউরো আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
হিউম্যানিটি-১ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলতে চাননি, কারণ তারা তাদেরকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান না। তারা আরো বলেছে, লিবিয়ার কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘‘তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার অর্থ হলো সুরক্ষা খুঁজতে থাকা মানুষদের এবং আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজের ক্রুদের বিপদের মুখে ফেলা।”
ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কাছে লিবিয়া মূলত একটি ট্রানজিট দেশ। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা দেশটিতে এসে ভিড় করেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR) জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার পাঁচশোরও বেশি অভিবাসী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছে।
ইউরোপে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইতালি। এই চুক্তি এখন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
অনেক মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিবিয়া অভিবাসীদের জন্য মোটেও নিরাপদ কোনো দেশ নয়। কারণ পাচারকারী নেটওয়ার্কের হাতে অপহরণ, নির্যাতন, শোষণের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য হচ্ছেন অভিবাসীরা। হত্যাকাণ্ডসহ অভিবাসীদের গণকবরের খোঁজও মিলেছে লিবিয়ায়।
কবির আহমেদইবিটাইমস

























