ভিয়েনা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চরফ্যাসনে বসতঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৫ সময় দেখুন

শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাসন : ভোলার চরফ্যাসনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলিল লেখকের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ছেলে মো. জিয়াসহ তার দলবলের বিরুদ্ধে।

এসময় হামলাকারীদের তাণ্ডবে ওই দলিল লেখক মামুন পাটোয়ারী ও তার স্ত্রী রেশমা বেগমসহ একই পরিবারের দুইজন আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।

এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে দলিল লেখক মামুন জানিয়েছে।

ভুক্তভোগী দলিল লেখক মো. মামুন পাটোয়ীরী জানান, তার বাবার মৃত্যুর চার বছর পর ৩ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে ওয়ারিশি জমির হিস্যা বন্টন নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। পারিবারিক জমির বিরোধ নিরসনের জন্য উভয় পক্ষ ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের শরণাপন্ন হন। মামুনের পরিবারের মধ্যে জমি বিরোধ ওই চেয়ারম্যানের দরবারে শালিশ চলমান রয়েছে। শালিশ সমোঝতার আগেই চেয়ারম্যান তাকে বিরোধীয় জমিতে আমন রোপন করতে অনুমতি দিলে তিনি বিরোধীয় জমির কিছু অংশে  আমন রোপন করেন। কিন্তু এতেই বাধে বিপত্তি। তার অপর এক বোন রাশেদা সমোঝতা ও বন্টন ছাড়া জমিতে আমন রোপন করার প্রতিবাদ করে চেয়াম্যানের কাছে ফের বিচার দাবী করেন।
পরে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের ছেলে জিয়া তাকে জমিতে আমন রোপনের কারণ জানতে চান। এনিয়ে তার সাথে জিয়ার তর্ক হয়। ওই তর্কের জের ধরে চেয়ারম্যানের পুত্র জিয়া তার দলবল নিয়ে তার ওপর অর্তকিত হামলা চালন। এতেই থেমে যাননি চেয়ারম্যান পুত্র জিয়া। দ্বিতীয় দফায় তার বাড়িতে গিয়ে তার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বসত ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ন মালামাল লুটে নেন। এসময় তিনি এবং তার স্ত্রী রেশমা বেগম হামলাকারীদের বাধা দিলে ফের ওই চক্র তাদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান।  

এ বিষয়ে জিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে জিয়ার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন জানান, তাদের পারিবারিক জমি নিয়ে ওই পরিবারের উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলমান নিয়ে তিনি সমোঝতা করে দিয়েছেন। ফের দলিল লেখক মামুন ওয়ারিশের জমি জবর দখল করেন। এনিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

চরফ্যাসন থানার ওসি মিজানুর রহমান  হাওলাদার জানান, এঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

চরফ্যাসনে বসতঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেটের সময় ০৪:০৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাসন : ভোলার চরফ্যাসনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দলিল লেখকের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ছেলে মো. জিয়াসহ তার দলবলের বিরুদ্ধে।

এসময় হামলাকারীদের তাণ্ডবে ওই দলিল লেখক মামুন পাটোয়ারী ও তার স্ত্রী রেশমা বেগমসহ একই পরিবারের দুইজন আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তারা।

এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে দলিল লেখক মামুন জানিয়েছে।

ভুক্তভোগী দলিল লেখক মো. মামুন পাটোয়ীরী জানান, তার বাবার মৃত্যুর চার বছর পর ৩ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে ওয়ারিশি জমির হিস্যা বন্টন নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। পারিবারিক জমির বিরোধ নিরসনের জন্য উভয় পক্ষ ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের শরণাপন্ন হন। মামুনের পরিবারের মধ্যে জমি বিরোধ ওই চেয়ারম্যানের দরবারে শালিশ চলমান রয়েছে। শালিশ সমোঝতার আগেই চেয়ারম্যান তাকে বিরোধীয় জমিতে আমন রোপন করতে অনুমতি দিলে তিনি বিরোধীয় জমির কিছু অংশে  আমন রোপন করেন। কিন্তু এতেই বাধে বিপত্তি। তার অপর এক বোন রাশেদা সমোঝতা ও বন্টন ছাড়া জমিতে আমন রোপন করার প্রতিবাদ করে চেয়াম্যানের কাছে ফের বিচার দাবী করেন।
পরে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের ছেলে জিয়া তাকে জমিতে আমন রোপনের কারণ জানতে চান। এনিয়ে তার সাথে জিয়ার তর্ক হয়। ওই তর্কের জের ধরে চেয়ারম্যানের পুত্র জিয়া তার দলবল নিয়ে তার ওপর অর্তকিত হামলা চালন। এতেই থেমে যাননি চেয়ারম্যান পুত্র জিয়া। দ্বিতীয় দফায় তার বাড়িতে গিয়ে তার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বসত ঘরে থাকা গুরুত্বপূর্ন মালামাল লুটে নেন। এসময় তিনি এবং তার স্ত্রী রেশমা বেগম হামলাকারীদের বাধা দিলে ফের ওই চক্র তাদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জোটবদ্ধ হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান।  

এ বিষয়ে জিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে জিয়ার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন জানান, তাদের পারিবারিক জমি নিয়ে ওই পরিবারের উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলমান নিয়ে তিনি সমোঝতা করে দিয়েছেন। ফের দলিল লেখক মামুন ওয়ারিশের জমি জবর দখল করেন। এনিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

চরফ্যাসন থানার ওসি মিজানুর রহমান  হাওলাদার জানান, এঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস