শেখ ইমন, ঝিনাইদহঃ খুনের পর খুন। চার দিনে চার খুন। কোন ভাবেই খুন খারাবি ও সামাজিক দ্বন্দ নিরসন করা যাচ্ছে না। পবিত্র রমজান মাসেও মানুষের মাঝে কোন ধৈর্য্য নেই। ফলে ঝিনাইদহ, হরিণাকুন্ডু ও কোটচাঁদপুরে চার দিনে চার খুনের ঘটনা ঘটেছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) কোটচাঁদপুরে দলীয় কোন্দলে আক্তার ও জীবন নামে দুই যুবলীগ কর্মী খুন হন। এই খুনের ঘটনায় এজাহার নামীয় একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মেইন কিলাররা এখনো অধরা রয়ে গেছে।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভগবাননগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই মকবুল হোসেন মোল্লা খুন হন।
গত বৃহস্পতিবার ৮ শতক জমির দখল নিয়ে ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম ও বোন পারভিনা খাতুনের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হলে ছোট ভাই, বোন ও দুই ভাগ্নের নেতৃত্বে হামলা করে। এতে বড় ভাই মকবুল হোসেন মোল্লা গুরুতর আহত হন। ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল) বিকালে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার আলহেলাল প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল মৃত্যু বরণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ভাগ্নে রাশিদুল ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। সর্বশেষ রোববরার হরিণাকুন্ডুর শেখপাড়া বিন্নি গ্রামে সামাজিক কোন্দলে নিহত হয়েছেন আলতাফ হোসেন বিশ্বাস।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, রাজু আহম্মেদ নামে স্থানীয় এক প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়ে টাকা না দেওয়া নিয়ে বিরোধের সুত্রপাত। ৫ দিন কম পড়িয়ে শিক্ষক রাজু আহম্মেদ টাকা দাবী করলে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র হাবিবুর রহমানের পিতা শেখপাড়া বিন্নি গ্রামের নজরুল মুন্সি প্রতিবাদ করেন। তিনি ৫ দিনের টাকা কম দিতে চাইলে শিক্ষক রাজু আহম্মেদ ছাত্রকে মারধর করেন। নজরুল সামাজিক ভাবে সিরাজুলের সমর্থক। গত এক সপ্তাহ আগে বেড়বিন্নি বাজারে শহিদুলের সমর্থক শিক্ষক রাজুু আহমেদ ও বকুল হোসেনকে মারধর করে সিরাজুলের লোকজন। এ ঘটনার জের ধরে রোববার শেখপাড়া বিন্নি গ্রামে মারামারিতে লিপ্ত হয় দুইটি সামাজিক দল।
ঝিনাইদহ/ইবিটাইমস