ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট;পিরোজপুর: পিরোজপুরে নেশার টাকা না পেয়ে প্রকৌশলী পুত্র কর্তৃক মাকে নির্যাতনে সংজ্ঞা হারিয়ে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্কুল শিক্ষিকা মা সুলতানা বেগম (৫৬)। এ ঘটানায় অভিযুক্ত প্রকৌশলী পুত্র মো. মনজুরুল আলম টুটুল (২৫) কে আটক
করেছেন থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৯ জুলাই) বিকালে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা সদরে।
নেশাগ্রস্থ প্রকৌশলী পুত্র টুটুল উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের চরানী পত্তাশী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের ছেলে। বাবা মুনসুর আলী একজন স্কুল শিক্ষিক ছিলেন। আর মা সুলতানা বেগম উপজেলার উত্তর ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
টুটুল খুলনার ম্যানগ্রোভ পলিট্যাকনিক্যাল ইনষ্টিটিউট থেকে টেক্সটাইল বিষয়ের উপর লেখা-পড়া করেছেন। ওই স্কুল শিক্ষিকা উপজেলা সদরের প্রধান মসজিদের কাছে নতুন বাড়ি তৈরী করে সেখানে একমাত্র পুত্র মনজুরুল আলম টুটুলকে নিয়ে বসবাস করছেন।
স্থানীয় প্রতিবেশী মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে আমি ওই ঘরে যাই।সেখানে গিয়ে শুনতে পাই নেশার টাকার জন্য প্রকৌশলী পুত্র মায়ের সাথে খারাপ আচরন করে ও পাশের একটি কক্ষে মা আটকা রয়েছেন। এতে মা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পরে স্বজনরা তাকে
উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় থানা পুলিশ প্রকৌশলী পুত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই শিক্ষিকার একমাত্র পুত্র মনজুরুল ইসলাম টুটুল একজন নিয়মিত নেশা গ্রস্থ। তার স্কুল শিক্ষিকা মা ওই দিন রোজা ছিলেন। ওই দিন বিকালে পুত্র মাদকের টাকার জন্য মায়ের সাথে খারাপ আচরন
করায় মা সঞ্গা হারান। খবর শুনে ঘটনা স্থল থেকে নেশা গ্রস্থ পুত্রকে আটক করা হয়েছে। মা লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা দায়ের করা হবে।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস