স্পোর্টস ডেস্কঃ ওয়েম্বলিতে বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় অনুষ্ঠিত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
সেমিফাইনাল লড়াইয়ের মঞ্চে বল দখলে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫৯ ভাগ সময় বল দখলে রেখেছে তারা। আক্রমণেও অনেক এগিয়ে ছিল ইংলিশরা। পুরো ম্যাচে ২০ বার শট নেওয়া ইংল্যান্ডের ১০টি শটই ছিল অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। কিন্তু ডেনিশ গোলরক্ষকের বাধা এড়িয়ে ঠিকঠাক ফিনিশিং দিতে ঘাম ছুটেছে ইংল্যান্ড ফুটবলারদের।

ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু রাহিম স্টার্লিংয়ের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন ড্যানিশ গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ইংলিশদের জালে শট নেন হজবার্গ। সেটা রুখে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক।
খেলার ২৫ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ড্যামসগার্ড। তবে সে যাত্রায় বল চলে যায় বাইরে। অবশেষে ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোল পেয়ে যায় ডেনিশরা। ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত গোলে দলকে লিড এনে দেন ড্যামসগার্ড। চলতি ইউরোয় এই প্রথম গোল হজম করে ইংল্যান্ড।
তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তাতে সমতায় ফিরতেও বেশি সময় লাগেনি। তবে গোলটি আসে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী থেকে। ৩৯ মিনিটের মাথায় সিমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়। এরপর বিরতির আগে গোল আর না আসলে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে কয়েক দফা আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পরও গোল পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সুযোগ সৃষ্টি করে ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি বক্সে গিয়ে বারবার হতাশ হতে হয়েছে। ইংল্যান্ড শিবিরে স্বস্তি আসে খেলার ১০৪ মিনিটে। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রাহিম স্টার্লিং। এতে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংলিশরা। অধিনায়ক কেইনরর পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন ডেনমার্ক গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বলে পা ছুঁইয়ে গোল আদায় করে নেন কেইন। সঙ্গেই সঙ্গেই উল্লাসে ভাসে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম।
এই জয়ের ফলে ১৯৬৬ সালের পর প্রথম কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো ইংলিশরা। ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইতালি।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস/ আরএন