ভিয়েনা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বিবৃতি না দেন, হাইকমিশনারকে বললেন উপদেষ্টা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:১৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৫ সময় দেখুন

ইবিটাইমস, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা যেন সেখানে বসে বিবৃতি না দেন, সে বিষয়টি নিশ্চিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতে বসে শেখ হাসিনা বিবৃতি দিলে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশর সম্পর্কের ক্ষতি হবে এবং তা ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছি এটা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। এটা আমি তাকে বলেছি। কারণ সরকারের অবস্থান এটাই। এটা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনার কিছু বলেননি, তিনি বলতে পারেনও না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তিনি সেখানে সেটি জানাতে পারেন।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই আলোচনার প্রেক্ষাপটটা হলো বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্টেটমেন্ট এই সরকারের জন্য স্বস্তিকর হচ্ছে না। আমরা চাই তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন।’

শেখ হাসিনার বিবৃতিকে বাংলাদেশ কী হিসেবে দেখবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সরাসরি হোস্টাইল অ্যাক্ট হিসেবে বলছি না। কিন্তু এটা তো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্তরায়, সেটাই তাকে বলার চেষ্টা করেছি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কোনো কথা বলিনি।’

শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে, তাকে দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা হলে আইন মন্ত্রণালয় যদি বলে তাকে ফেরত আনতে হবে, আমরা আনব। না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাজ- একটি হলো স্বরাষ্ট্র ও আরেকটি আইন। তারা যেভাবে পরামর্শ দেবে, সেভাবেই আমরা কাজ করব।’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছি এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খবর নিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আমরা চাই সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে। দোষীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। হাইকমিশনারকে বলেছি ভারতের গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জন করে খারাপ পরিবেশ তৈরি করছে, এটা ঠিক না।’

সীমান্ত ইস্যু নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি কিছু সমস্যা আছে। এই একটি ইস্যু আমরা দুই পক্ষ চাইলে সমাধান করতে পারি।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

শেখ হাসিনা যেন ভারতে বসে বিবৃতি না দেন, হাইকমিশনারকে বললেন উপদেষ্টা

আপডেটের সময় ০৮:১৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

ইবিটাইমস, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা যেন সেখানে বসে বিবৃতি না দেন, সে বিষয়টি নিশ্চিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, সৌদির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতে বসে শেখ হাসিনা বিবৃতি দিলে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশর সম্পর্কের ক্ষতি হবে এবং তা ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছি এটা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। এটা আমি তাকে বলেছি। কারণ সরকারের অবস্থান এটাই। এটা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনার কিছু বলেননি, তিনি বলতে পারেনও না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তিনি সেখানে সেটি জানাতে পারেন।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই আলোচনার প্রেক্ষাপটটা হলো বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্টেটমেন্ট এই সরকারের জন্য স্বস্তিকর হচ্ছে না। আমরা চাই তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন।’

শেখ হাসিনার বিবৃতিকে বাংলাদেশ কী হিসেবে দেখবে- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সরাসরি হোস্টাইল অ্যাক্ট হিসেবে বলছি না। কিন্তু এটা তো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অন্তরায়, সেটাই তাকে বলার চেষ্টা করেছি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কোনো কথা বলিনি।’

শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে, তাকে দেশে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা হলে আইন মন্ত্রণালয় যদি বলে তাকে ফেরত আনতে হবে, আমরা আনব। না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা দুটি মন্ত্রণালয়ের কাজ- একটি হলো স্বরাষ্ট্র ও আরেকটি আইন। তারা যেভাবে পরামর্শ দেবে, সেভাবেই আমরা কাজ করব।’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বলেছি এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে সেটি আমরা খবর নিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আমরা চাই সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে। দোষীদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। হাইকমিশনারকে বলেছি ভারতের গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জন করে খারাপ পরিবেশ তৈরি করছে, এটা ঠিক না।’

সীমান্ত ইস্যু নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি কিছু সমস্যা আছে। এই একটি ইস্যু আমরা দুই পক্ষ চাইলে সমাধান করতে পারি।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন