বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিঝুম দ্বীপ

ইবিটাইমস ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রথমবারের মতা বিদ্যুতের আওতায় এসছে নোয়াখালির হাতিয়া উপজলার দূর্গম এলাকা নিঝুম দ্বীপ। শনিবার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যম সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। বিদ্যুৎ উনয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করছন।

বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছানার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। এই বিদ্যুতের মাধ্যমে ওই এলাকার আর্থ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা করছেন দুর্গম এই দ্বীপের বাসিন্দারা।

পিডিবির জানায়, হাতিয়ায় স্থাপিত একটি বিদ্যুৎকেদ্র থেকে শনিবার দুপুর একটার দিকে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। মূল ভখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাগরের তলদেশ দিয়ে হাতিয়া থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয় প্রত্যন্ত এই এলাকার বাসিন্দারা সরকারের শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসলেন।

পিডিবি আরো জানিয়েছে, আপাতত এলাকায় বিদ্যুতের গ্রাহক নেই। তবে বিদ্যুৎ পৌছানোর কারণ তারা বিদ্যুৎ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছন। কিছুদিনের মধ্যেই নিঝুম দ্বীপে বসবাসরত সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্বীপ বাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরন হলা। মানুষ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাবে। ফলে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুর প্রসার ঘটবে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই জেলে। গ্রিড বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান আরও বাড়বে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে। এতে পর্যটন খাতেরও উন্নয়ন হবে।

দেশব্যাপী শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে ২০২০ সালে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযাগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
ওই প্রকল্পের আওতায় গত ১৩ এপ্রিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এবং গত বছরর নভেম্বরে নোয়াখালির হাতিয়া দ্বীপের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন।

মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এসব দ্বীপে স্বাভাবিক লাইন নির্মানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ না থাকায় সাবমেরিন ক্যাবল ব্যাবহার করা হয়েছে। এটি ব্যয়বহুল হওয়া সত্বেও শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগর কর্মকর্তারা।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/আরএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »