ভিয়েনা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সময়সীমা নেই – ট্রাম্প জার্মানিতে শরণার্থীদের অনেকেই এখনও দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছে মঙ্গলবার অস্ট্রিয়া সফরে আসছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার ওমানে দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর লাশ ফিরল দেশে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী, সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়লো ১৯ মাছের আড়ৎ ভিয়েনায় মার্সিডিজ গাড়ি পুড়ে ছাই ওয়াশিংটনে যুদ্ধ বন্ধে জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প

১০ ডিসেম্বর নিয়ে বাগাড়ম্বর করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ১২ সময় দেখুন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালি কলসি বাজে বেশি’র মতই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন। তিনি বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারাদেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যতো মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।’

কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহয়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘেœ সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।’

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি’। তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে।

‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘উনারা না কি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ, কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।’ কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নয়। আসলেই পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গা দেখি না, কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ‘তারা কেন নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়, সেটি সহজেই অনুমেয়। হেফাজতে ইসলাম যে ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তারা সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য গাড়িঘোড়া ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না।’

‘১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে’ জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের অনেক গভীরে প্রোথিত, আমরা জনগণের সাথে আছি। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য সবসময় সতর্ক আছি। বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তার সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেটেড কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে।’

১০ ডিসেম্বর পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এগুলো বেসরকারি সংগঠন, এখানে সব দলের নেতারা আছেন। সব দল মিলেই বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়

হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সময়সীমা নেই – ট্রাম্প

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

১০ ডিসেম্বর নিয়ে বাগাড়ম্বর করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

আপডেটের সময় ০৭:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

ঢাকা প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালি কলসি বাজে বেশি’র মতই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন। তিনি বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারাদেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যতো মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।’

কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহয়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘেœ সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।’

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি’। তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে।

‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘উনারা না কি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ, কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।’ কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নয়। আসলেই পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গা দেখি না, কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।

তিনি বলেন, ‘তারা কেন নয়াপল্টনের সামনে সমাবেশ করতে চায়, সেটি সহজেই অনুমেয়। হেফাজতে ইসলাম যে ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল, তারা সে ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির জন্য গাড়িঘোড়া ভাংচুর, অগ্নিসন্ত্রাস এবং মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সেটি হতে দেবে না।’

‘১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে’ জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত জনগণের অনেক গভীরে প্রোথিত, আমরা জনগণের সাথে আছি। সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য সবসময় সতর্ক আছি। বিএনপি সারাদেশে সমাবেশের নামে যে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে তার সাথে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাম্প্রতিক অপতৎপরতা একসূত্রে গাঁথা। টার্গেটেড কিলিং-সন্ত্রাসসহ তাদের নানা পরিকল্পনা রয়েছে।’

১০ ডিসেম্বর পরিবহন ধর্মঘট থাকবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেখুন বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এগুলো বেসরকারি সংগঠন, এখানে সব দলের নেতারা আছেন। সব দল মিলেই বাস-ট্রাক মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোতেও সব দল আছে। এটি তাদের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো জানাশোনা নেই, আমাদের কোনো হাতও নেই।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এমএইচ