পদ্মা বহুমুখী সেতু পারাপারের জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের টোলের হার চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার
বাংলাদেশ ডেস্কঃ মঙ্গলবার (১৭ মে) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোটরসাইকেলের জন্য ১০০ টাকা, প্রাইভেট কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা, পিকআপের জন্য ১২০০ টাকা, মাইক্রোবাসের জন্য ১৩০০ টাকা, ছোট বাসের জন্য (৩১ আসনবিশিষ্ট) ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসের জন্য (৩২ আসন বা এর বেশি) ২০০০ টাকা, বড় সাইজের বাসের জন্য (৩ এক্সেল) ২৪০০ টাকা, ছোট ট্রাকের (৫ টন পর্যন্ত) জন্য ১৬০০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাকের জন্য (৫ টনের বেশি ৮ টন পর্যন্ত) ২১০০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৮ টনের বেশি ১১ টন পর্যন্ত) ২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকের জন্য (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬০০০ টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেলের বেশি) ৬০০০+ টাকা (প্রতি এক্সেল ১৫০০ টাকা) টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কয়েক প্রভাবশালী ও বহুল প্রচারিত জাতীয় সংবাদপত্র জানিয়েছেন পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে জুনেই। চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য উদ্বোধনের তারিখ হিসেবে ২৫ জুন আলোচনায় রয়েছে। বহুল প্রতীক্ষার এই সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এর মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে সেতু বিভাগ ১৮টি উপকমিটি গঠন করেছে। চলতি মে মাসের মধ্যেই সেতুতে আলো জ্বালানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র বলছে, জুনের শেষ সপ্তাহে সেতু উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত। তবে উদ্বোধনের দিন হিসেবে কোন তারিখ বেছে নেওয়া হবে—এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের দিন-তারিখ ঠিক করে অনুমোদনের জন্য সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তৈরি, মঞ্চ প্রস্তুত এবং অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে এগোচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।
সরকারি সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে জনসভা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গত রোববার সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য ম্যুরাল ও ফলক নির্মাণের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উচ্চতার দুটি ম্যুরাল নির্মিত হচ্ছে। দুটি ম্যুরালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি থাকবে। এর পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে উদ্বোধনী ফলক।
উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু চালু হবে, এটা ধরেই এগোচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
পদ্মা সেতুতে পারাপারে যানবাহনের শ্রেণিভেদে টোলহার প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন পাওয়ার
পরেই বলেই জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস