জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহন উপজেলায় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কালমা গ্রামের আহমদ আলী মাতাব্বর বাড়ি এলাকার এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে থাকেন। একই সঙ্গে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। দশ বছর পার হয়ে গেলেও খুঁটিটি সরানোর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে পণ্য পরিবহন, কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া এমনকি ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ইট, বালু ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
এলাকাবাসী জানান, ২০১৫ সালে কালমা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদার সড়কের মাঝখানেই খুঁটি স্থাপন করেন। সে সময় স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। এমনকি তখন লালমোহন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তৎকালীন ডিজিএমকে অবহিত করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বাসিন্দা আলামিন মাতাব্বর বলেন, “বিদ্যুৎ দেওয়ার সময় আমরা সবাই বাধা দিয়েছিলাম। বলেছিলাম রাস্তার পাশে খুঁটি বসাতে। কিন্তু ঠিকাদার কোনো কথা শোনেনি। কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোনো সমাধান না দিয়ে জোর করে খুঁটি বসিয়ে দেয়।”
তিনি আরও জানান, ওই সময় সড়কটি মাটির ছিল। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে ও অর্থায়নে রাস্তার ওপর ইটের গুড়ি ফেলে কিছুটা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিটি এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, খুঁটিটি শুধু যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে না, বরং সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট করছে এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে রাতে কিংবা বর্ষাকালে অল্প আলোতে চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটিটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে সড়কের পাশে স্থাপন করা হোক। এতে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে, অন্যদিকে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা কর্তপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি অনেক বছর আগের। হয়তো তখন রাস্তা সম্প্রসারিত ছিল না। খুঁটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব বরাদ্দ থাকে না বলে তিনি জানান। এখন যেহেতু রাস্তাটি সম্প্রসারিত হয়েছে, তাহলে অবশ্যই রাস্তা পাকা করা হবে। যেই বিভাগ থেকে রাস্তা পাকা করা হবে তখন ওই বিভাগ থেকে আবেদন দিয়ে নিজ খরচে খুঁটি সরাতে হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস




















