ইউরোপ ডেস্ক : ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার প্রচেষ্টায় বার্লিনে জার্মানি,যুক্তরাস্ট্র
ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা চলছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বার্লিনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার
মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে
আলোচনা শুরু হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পূর্বে একটি সতর্ক আশাবাদ দেখিয়েছে এবং অগ্রগতির প্রত্যাশা নিয়ে জার্মানিতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। যদিও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
জার্মানির গণমাধ্যম জানিয়েছে,ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা সোমবার বার্লিনে অব্যাহত থাকবে। তবে বর্তমানে টেবিলে থাকা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবগুলি জনসমক্ষে এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন প্রশাসন অন্তত প্রাথমিকভাবে বার্লিনে আলোচনায় অগ্রগতির সম্ভাবনা স্বীকার করেছে বলে মনে হচ্ছে, জার্মানিতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়টি এই প্রত্যাশার ওপর শর্তাধীন করে। রোববার
রাতে মার্কিন প্রতিনিধিদল বার্লিন পৌঁছেছে।
সোমবার সন্ধায় জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জার্মানি-ইউক্রেনীয় দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক আলোচনা করার সম্ভাবনা রয়েছেও বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায়, মের্জ ইউরোপীয় নেতাদের বার্লিনের চ্যান্সেলেরিতে ইউক্রেন আলোচনার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই রোববার রাতে জেলেনস্কি এবং বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা চ্যান্সেলেরিতে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সাথে পরামর্শের জন্য দেখা করেছেন।
তবে সোমবার মার্কিন ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে উপদেষ্টা পর্যায়ের আলোচনা চলবে কিনা এবং কোন ফর্ম্যাটে তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে রাশিয়া আলোচনাকে কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখছে।
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনের অবদান “খুবই গঠনমূলক হবে না”, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বার্লিনে আলোচনা শুরু হওয়ার আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একথা বলেন।
ইবিটাইমস/কবির আহমেদ



















