ইবিটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন আবারও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও গণহত্যার ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। কংগ্রেসের এক শুনানিতে তিনি প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করা উচিত। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র দাবি করেছেন, তাকে ইসলামোফোবিক বা ইসলামবিদ্বেষী বলা হলেও তাতে তিনি ভয় পান না।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের এক শুনানিতে কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি মূলত দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। কংগ্রেসের শুনানিতে তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবাদী নীতি’ আরোপের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় ইসরায়েলিদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাস্তবে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সতর্কতার জন্য বসতি স্থাপনকারীদের কিছু ফিলিস্তিনি এলাকায় না যেতে সতর্ক করে থাকে। তবে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়ই সেনাবাহিনীর সুরক্ষায় ফিলিস্তিনি গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। এ বছর এমন হামলায় দুই মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ফাইন শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, ‘যারা বারবার ইসরায়েলকে ধ্বংসের ডাক দেয়, যারা ‘ইহুদিরা এখানে ঢুকতে পারবে না’— এমন সাইনবোর্ডে অভ্যস্ত, তাদের সঙ্গে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? দীর্ঘমেয়াদে কী সমাধান হতে পারে? নাকি অন্য কোনও পথ আছে?’
জায়নিস্ট অর্গানাইজেশন অব আমেরিকার প্রধান মর্টন ক্লেইন জবাবে বলেন, ইসলামকে ‘সংস্কার’ করতে হবে এবং ইসরায়েলকে ইহুদিদের রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। ইসলামবিদ্বেষী বলা হবে— এই ভয়ে থাকে’। এসময় ফাইন তাকে থামিয়ে বলেন, ‘আমি এতে ভয় পাই না’।
এরপর ফাইন আরও কঠোর মন্তব্য করে বলেন, ‘যারা আপনাকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আমি মনে করি, আগে তাদেরই ধ্বংস করতে হবে।’
জাতিসংঘের সংজ্ঞায় গণহত্যা হলো— ‘কোনও জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হত্যা, ক্ষতি করা, জন্মরোধ করা, শিশু অপহরণ বা এমন জীবনযাপন চাপিয়ে দেয়া যাতে তারা ধ্বংস হয়ে যায়।’
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রায় ৭০ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং গণহত্যার উদ্দেশ্যে এই আগ্রাসন পরিচালিত হয়েছিল বলে মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন।
ঢাকা/এসএস





















