ভিয়েনা ০২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়ায় ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১১:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৪ সময় দেখুন

মনজুর রহমান, ভোলা : ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষে ২২ দিনে জন্য ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীদে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিপনন ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে।

‎শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা। এতে কর্মহীন হয়ে বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের ২ লাখের অধিক জেলে। যে কারনে তাদের অভাব-অনাটর আর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন তারা। তবে নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলে পুর্নবাসনের জন্য প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

‎ তবে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সেই  চাল দ্রুত  সময়ে বিতরনের দাবী জেলেদের।

‎বিভিন্ন মাছ ঘাট ও জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে,
‎জেলেদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে তেমন মাছ থরা পড়েনি তাই অনেকেই ধার দেন শোধ করতে পারেননি এর মধ্যে আবার নিষেধাজ্ঞা চলে আসায় অনেকটাই চিন্তিত তারা।


‎জেলে বশির ও সিরাজ মাঝি বলেন, চলতি মৌসুমে জেলেরা নদীতে কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন তবে কিছুদিন ধরে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করায় আশা করছিলেন সংকট দুর করবেন কিন্তু নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় সবাই ভুগছেন হতাশায়।একই অবস্থা অন্য জেলেদের।


‎এদিকে  ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকার খবর পেয়েঘাটে ভেড়ানো হচ্ছে নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ আবার শেষ খেও দিতে নদীতে যাচ্ছেন, তবে তাদের ফিরতে হবে শুক্রবার রাত ১২ টার আগেই।

‎কেউ কেউ আবার আগে থেকেই  জাল, নৌকাসহ মাছ ধরার সকল উপকরন তুলে এনেছেন ঘাটে।

‎সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে প্রস্তুত থাকলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সে চিন্তার ছাপ রয়েছে জেলেদের চোখে মুখে। সংকট দুর করতে নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলে পুর্নবাসনের চাল দ্রুত বিতরণের দাবি জেলেদের।



‎জানা গেছে,  ভোলায় নিবন্ধিত এক লাখ ৬৮ হাজার জেলে থাকলেও  চাল বরাদ্দ হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাহার ৪৩৮ জেলের নামে। তাদের ২৫ কেজি করে ৩ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। তবে নিবন্ধিত হয়েও চাল বঞ্চিত হবেন প্রায় ১০ হাজার জেলে।

‎এ ব্যাপারে ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদি হাসান ভূইয়া বলেন, জেলেদের বন্য বরাদ্দবৃত জাল এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

‎নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে না যায় সেজন্য তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

‎এছাড়াও অভিযান সফল করতে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্যবিভাগ অভিযান পরিচালনা করবে।


‎জেলেরা বলছেন, এবার ভরা মওসুমে ইলিশ কম থাকায় অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। এরই মধ্যে আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলেরা।

‎তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে  আর জেলেদের সংকট দুর করতে নিবন্ধিত জেলেদের দেয়া হবে ২৫ কেজি করে চাল।

‎ইলিশ ধরার এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়ায় ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

আপডেটের সময় ১১:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

মনজুর রহমান, ভোলা : ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষে ২২ দিনে জন্য ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীদে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিপনন ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে।

‎শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে এ নিষেধাজ্ঞা। এতে কর্মহীন হয়ে বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের ২ লাখের অধিক জেলে। যে কারনে তাদের অভাব-অনাটর আর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বেন তারা। তবে নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলে পুর্নবাসনের জন্য প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

‎ তবে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সেই  চাল দ্রুত  সময়ে বিতরনের দাবী জেলেদের।

‎বিভিন্ন মাছ ঘাট ও জেলে পল্লী ঘুরে দেখা গেছে,
‎জেলেদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে তেমন মাছ থরা পড়েনি তাই অনেকেই ধার দেন শোধ করতে পারেননি এর মধ্যে আবার নিষেধাজ্ঞা চলে আসায় অনেকটাই চিন্তিত তারা।


‎জেলে বশির ও সিরাজ মাঝি বলেন, চলতি মৌসুমে জেলেরা নদীতে কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন তবে কিছুদিন ধরে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করায় আশা করছিলেন সংকট দুর করবেন কিন্তু নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় সবাই ভুগছেন হতাশায়।একই অবস্থা অন্য জেলেদের।


‎এদিকে  ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকার খবর পেয়েঘাটে ভেড়ানো হচ্ছে নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ আবার শেষ খেও দিতে নদীতে যাচ্ছেন, তবে তাদের ফিরতে হবে শুক্রবার রাত ১২ টার আগেই।

‎কেউ কেউ আবার আগে থেকেই  জাল, নৌকাসহ মাছ ধরার সকল উপকরন তুলে এনেছেন ঘাটে।

‎সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে প্রস্তুত থাকলেও পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সে চিন্তার ছাপ রয়েছে জেলেদের চোখে মুখে। সংকট দুর করতে নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলে পুর্নবাসনের চাল দ্রুত বিতরণের দাবি জেলেদের।



‎জানা গেছে,  ভোলায় নিবন্ধিত এক লাখ ৬৮ হাজার জেলে থাকলেও  চাল বরাদ্দ হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাহার ৪৩৮ জেলের নামে। তাদের ২৫ কেজি করে ৩ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে। তবে নিবন্ধিত হয়েও চাল বঞ্চিত হবেন প্রায় ১০ হাজার জেলে।

‎এ ব্যাপারে ভোলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদি হাসান ভূইয়া বলেন, জেলেদের বন্য বরাদ্দবৃত জাল এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

‎নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা যাতে নদীতে না যায় সেজন্য তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

‎এছাড়াও অভিযান সফল করতে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্যবিভাগ অভিযান পরিচালনা করবে।


‎জেলেরা বলছেন, এবার ভরা মওসুমে ইলিশ কম থাকায় অনেকেই দেনার দায়ে জর্জরিত। এরই মধ্যে আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলে আশায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলেরা।

‎তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, মা ইলিশ রক্ষায় কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে  আর জেলেদের সংকট দুর করতে নিবন্ধিত জেলেদের দেয়া হবে ২৫ কেজি করে চাল।

‎ইলিশ ধরার এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস