জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : ভোলার লালমোহনের জন্য নির্ধারিত পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ব্যবহার না করে খুলনা বিক্রির উদ্দেশে খুলনায় পাঠাচ্ছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার।
এসব ট্রান্সফরমার নেয়ার পথে বরিশালে জব্দ করে এবং দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার শওকত হোসেনের ছেলে মো. সজল ও ভোলার শশীভূষণ থানার ইসমাইল সরদারের ছেলে মো. হাসান।
এ ঘটনায় শনিবার লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিন ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সুদিপ্ত রায় স্বশরীরে লালমোহনসহ বিভিন্নস্থানে তদন্ত করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজছেন তিনি।
আটককৃতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে লালমোহন থানায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ট্রাকযোগে ৩১টি ট্রান্সফরমার খুলনা নেওয়ার পথে বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশের হাতে আটক হন সজল ও হাসান নামের দুই ব্যক্তি। তাদের কাছে মালামালের চালানসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। পরে থানায় নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ট্রান্সফরমারগুলো ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেনের বলে জানান। ওই ঠিকাদারের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান হাটে। তিনি চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার। লালমোহন ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় তার অফিস রয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম মেসার্স কর্ণফুলী ট্রেডার্স। তিনি পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন কার্যাদেশের বিপরীতে এসব ট্রান্সফরমার ইস্যু করান। তবে ঠিকাদারের এসব ট্রান্সফরমার তদারকীর দায়িত্বে রয়েছেন পল্লী বিদ্যুতের লালমোহন জোনাল অফিসের এজিএম খালেদ মাসুদ মজুমদারসহ আরো কয়েকজন। তাদের সঠিক তদারকির অভাবেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কর্ণফুলী ট্রেডাসের পরিচালক সাদ্দাম হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকার কল করলেও রিসিভ না করে ফোন বন্ধ করে দেন।
তবে পল্লী বিদ্যুতের লালমোহন জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মাহমুদুল হাসান জানান, জব্দকৃত ট্রান্সফরমারগুলো লালমোহনের। এগুলো ঠিকাদার সাদ্দাম হোসেন তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কর্ণফুলি ট্রেডার্সের নামে বিভিন্ন কার্যাদেশের বিপরীতে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টোর থেকে বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করেছিলেন। কিন্তু তিনি এগুলো যথাযথ ব্যবহার না করে খুলনা নিয়ে যাচ্ছিলেন। যা কোনোভাবেই অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ব্যতিত অন্যত্র পরিবহণযোগ্য নয়। যার জন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস
















