শহিদুল ইসলাম জামাল, চরফ্যাশন : ভোলার চরফ্যাশন সহকারী জজ আদালতের এক বিচারককে বিতর্কিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চরফ্যাশন আইনজীবী সমিতি।
সম্প্রতি চরফ্যাশন সহকারী জজ আদালতে কর্মরত সিনিয়র সহকারী জজ রেজাউল করিম বাঁধন এবং তাঁর স্ত্রী চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা সারমিন মিথিকে জড়িয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ‘বিতর্কিত’ সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা আইনজীবী সমিতি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সমিতির নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী দ্বারা নিজের তদ্বির বাণিজ্যে ব্যঘাত ঘটয় ক্ষুদ্ধ হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চরফ্যাশন প্রতিনিধি এম লােকমান হোসেন। নিজের হীনস্বার্থে গণমাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। কৌশলে বিচার এবং প্রশাসন বিভাগকে গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর পায়তারা করছেন, যা বিপজ্জনক।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মাহবুবুল ইসলাম বলেন, মামলা-মোকদ্দমার ক্ষেত্রে চরফ্যাশন আদালতে এ পর্যন্ত যে ক’জন বিজ্ঞ বিচারক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত দেখাতে সক্ষম হয়েছেন, সিনিয়র সহকারী জজ রেজাউল করিম বাধন তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্ত একটি বিশেষ গোষ্ঠী আদালত ও প্রশাসনকে নিজেদের তদ্বির বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিণত করতে এবং সরকারী ভূমি ও প্রকল্পের অর্থ লোপাট করতে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসন ও আদালতকে নিয়ে নানান উদ্ভট অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। যা সুস্থ চিন্তার মানুষ এবং গণমুখী রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
আদালতের এডিশনাল পিপি এ্যাডভোকেট হিরণ অভিযোগ করেন, বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ রেজাউল করিম বাঁধনের সহধর্মীনি রাসনা সারমিন মিথি চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন। অপপ্রচারে লিপ্ত কুচক্রি গোষ্ঠী এই দম্পতির একই কর্মস্থলে অবস্থান নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে গাল-গল্প তৈরি করেছেন। কিন্ত এই চক্রটি নিশ্চয়ই জানেননা, বাংলাদেশ সরকারের প্রচলিত চাকরীবিধি অনুযায়ী-স্বামী-স্ত্রীর একই কর্মস্থলের কাছাকাছি থাকার বা চাকরি করার বিধান রয়েছে এবং এতে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি লোকমান হোসেন বিজ্ঞ আদালতে চলমান একটি মামলার পক্ষভূক্ত এবং মামলার প্রতিপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ড। মামলায় রায় নিজের অনুকূলে পেতে লোকমান হোসেন আদালতের বিচারক এবং উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে অনৈতিক ও বে-আইনী তদ্বির করে আসছেন। তাঁর তদ্বির আমলে না নেয়ায় আদালতের কর্মরত বিচারক ও ইউএনওকে জড়িয়ে উদ্ভট সংবাদ প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলেন হোয়াটস-আপে লোকমান হোসেনের তদ্বিরের প্রমাণও উপস্থাপন করা হয়।
এসময় চরফ্যাশন আদালতের জিপি এ্যাডভোকেট মো. সিদ্দিক মাতাব্বর, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন, এ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট মো. লিয়াকত আলী, এ্যাডভোকেট লিটন হাওলাদার, এ্যাডভোকেট মাইনুল ইসলাম নাবিল সরমানসহ আরও অনেকে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস