স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে খোলা মাঠে ভোট চান ইসি তাহমিদা

ইবিটাইমস ডেস্ক : স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে খোলা মাঠে ভোটগ্রহণের পক্ষে আবারও মত দিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক-গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা-২০২৫ নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মত দেন।

তাহমিদা আহমদ বলেন, ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন যদি চান তাহলে ওপেন স্পেসে নির্বাচন করার মানসিকতা তৈরি করেন, সেটাই হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। তা না হলে ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন কখনও হবে না। এতো সাংবাদিককে একসঙ্গে একোমোডেট (ভোটকক্ষে সংকুলান) করা যাবে না। এর আগেও গত ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায়ও তিনি খোলা মাঠে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

এদিকে আজকের মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংবাদিক নীতিমালা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশোধনের আশ্বাস দেয় নির্বাচন কমিশন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ জুলাই সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করে ইসি। এতে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপন কক্ষের ভেতরে গিয়ে ছবি তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন; গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না; একসঙ্গে দুজনের বেশি সংবাদকর্মী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না; ভেতরে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ মিনিট ও ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না- এমন বিষয় যুক্ত করা হয়।

আরএফইডি নেতারা সার্বিক বিষয় নিয়ে ভিন্নমত, আপত্তি তুলে ধরে জানান, বিদ্যমান নীতিমালা বহাল থাকলে সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রবাহ বিঘ্নিত হবে। সাংবাদিকদের এসব কড়াকড়ি আরোপ করলে অনিয়ম রোধে ইসির উদ্যোগের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।

আরএফইডির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার বিধান বাদ দেওয়া, গোপনকক্ষের ছবি ধারণে বারণ থাকলেও নির্বাচনী অনিয়মের সময় এটি প্রযোজ্য হবে না, একসঙ্গে অন্তত পাঁচ জন সাংবাদিককে ভোটকক্ষে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া, গণমাধ্যম প্রতিনিধিকে বাঁধা দিলে দোষী সাব্যস্ত করার বিধান যুক্ত করা ইত্যাদি।

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লা ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য রাখেন।

আরএফইডি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দীন (কাজী জেবেল) মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা উপস্থাপন করেন এবং তা ইসির কাছে হস্তান্তর করেন। সঞ্চালনা করেন আরএফইডি সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
ঢাকা/এসএস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »