ভিয়েনা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করানো সংবিধান পরিপন্থী: টিআইবি

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৫০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • ৭ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের অবৈধভাবে তুলে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রেখে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করানোর ঘটনা নিরেট মিথ্যাচার, প্রতারণামূলক ও সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।

টিআইবি বলেছে, আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিপুল প্রাণহানি, বাছবিচারহীন মামলা ও ধরপাকড়ের মতো অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়সমূহকে বৈধতা দিতে সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের অসত্য বয়ানের ধারাবাহিকতায় ডিবি এমন তৎপরতা চালায়। এমন তৎপরতা যে আত্মঘাতী, গণবিরোধী ও নির্মম নাটকীয়তাপূর্ণ, তা উপলব্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।

সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২০০টি মামলায় ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি আসামি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গণগ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের উল্লেখ করে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংঘর্ষ বা সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা সাধারণ মানুষকে হেনস্তাসহ গণগ্রেপ্তার ও যথেচ্ছ মামলা দায়েরের ঘটনা সংবিধান পরিপন্থী। সহিংসতার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ এমনকি ১৩ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বয়সের কিশোরকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলার ঘটনা ঘটেছে, যা সংবিধানে দেওয়া নাগরিকের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, যা মানবাধিকারেরও নির্মম লঙ্ঘন।’

টিআইবি মহাপরিচালক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের ওপর ন্যস্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব ও পেশাগত শপথ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নিপীড়ন বন্ধ করার তাগিদ দেন। কথিত নিরাপত্তা প্রদানের নামে আন্দোলনের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পাঠে বাধ্য করাকে অনৈতিক ও গর্হিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার শুরু থেকেই ইন্টারনেট বন্ধসহ বিভিন্ন জবাবদিহিহীন কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে অসত্য বয়ান সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে বলপ্রয়োগ করে সরকারই রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহকে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দিয়ে বিষয়টিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা স্পষ্ট। গণগ্রেপ্তার, নির্বিচার মামলা, ব্লক রেইড, সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও সত্যের অপলাপ বন্ধ করতে হবে।’

ডেস্ক/ইবিটাইমস/ এনএল/আরএন

জনপ্রিয়

৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করানো সংবিধান পরিপন্থী: টিআইবি

আপডেটের সময় ০৬:৫০:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

ইবিটাইমস ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের অবৈধভাবে তুলে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রেখে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পড়তে বাধ্য করানোর ঘটনা নিরেট মিথ্যাচার, প্রতারণামূলক ও সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।

টিআইবি বলেছে, আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিপুল প্রাণহানি, বাছবিচারহীন মামলা ও ধরপাকড়ের মতো অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়সমূহকে বৈধতা দিতে সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহের অসত্য বয়ানের ধারাবাহিকতায় ডিবি এমন তৎপরতা চালায়। এমন তৎপরতা যে আত্মঘাতী, গণবিরোধী ও নির্মম নাটকীয়তাপূর্ণ, তা উপলব্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায়।

সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২০০টি মামলায় ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি আসামি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গণগ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

শিক্ষার্থী, পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের উল্লেখ করে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংঘর্ষ বা সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকা সাধারণ মানুষকে হেনস্তাসহ গণগ্রেপ্তার ও যথেচ্ছ মামলা দায়েরের ঘটনা সংবিধান পরিপন্থী। সহিংসতার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ এমনকি ১৩ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত বয়সের কিশোরকেও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলার ঘটনা ঘটেছে, যা সংবিধানে দেওয়া নাগরিকের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে, যা মানবাধিকারেরও নির্মম লঙ্ঘন।’

টিআইবি মহাপরিচালক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের ওপর ন্যস্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব ও পেশাগত শপথ স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নিপীড়ন বন্ধ করার তাগিদ দেন। কথিত নিরাপত্তা প্রদানের নামে আন্দোলনের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা পাঠে বাধ্য করাকে অনৈতিক ও গর্হিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকার শুরু থেকেই ইন্টারনেট বন্ধসহ বিভিন্ন জবাবদিহিহীন কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে অসত্য বয়ান সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে বলপ্রয়োগ করে সরকারই রাষ্ট্রীয় সংস্থাসমূহকে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ করে দিয়ে বিষয়টিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা স্পষ্ট। গণগ্রেপ্তার, নির্বিচার মামলা, ব্লক রেইড, সাধারণ নাগরিককে হয়রানি ও সত্যের অপলাপ বন্ধ করতে হবে।’

ডেস্ক/ইবিটাইমস/ এনএল/আরএন