ভিয়েনা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
  • ২৭ সময় দেখুন

ইবিটাইমস, ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়ে, না বুঝেই অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। তিনি বলেন, তারা ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।

সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে- বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে, বাংলাদেশের  জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশি¬ষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান ও প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলে না যে- ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে,  নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে- ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

আরাফাত আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে ও ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন- এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই  রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল, তখন তা নেননি এবং এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি- সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করছেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন ও বিভ্রান্ত করেন।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারকের ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

আপডেটের সময় ০৮:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

ইবিটাইমস, ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সকল ধারা না পড়ে, না বুঝেই অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে বিএনপি। তিনি বলেন, তারা ধারাগুলো খন্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।

সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে- বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে, বাংলাদেশের  জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশি¬ষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান ও প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলে না যে- ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে,  নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলেনা যে- ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

ভারতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু কূটনৈতিক সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ আন্তর্জাতিক ফোরামে গিয়ে নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

আরাফাত আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করে দেশকে সামরিকভাবে শক্তিশালী করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছিটমহল সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে দশ হাজার একর জমি বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্ত করেছেন। ভারতের মাটিতে ও ভারতের গ্যাস ব্যবহার করে ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ত্রিপুরার পালাটানা থেকে কম খরচে আমদানি করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করিয়ে, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা শেখ হাসিনাই আদায় করেছেন আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তো গঙ্গার পানির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন- এ কথা দেশের সবাই জানে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে শেখ হাসিনাই  রেখেছেন। এই চুক্তি হলেও তাঁর হাত ধরেই হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল, তখন তা নেননি এবং এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রপ্তানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি- সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করছেন। আপনাদের সততার মানদন্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন ও বিভ্রান্ত করেন।’

ঢাকা/ইবিটাইমস/এনএল/আরএন