ভিয়েনা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঝালকাঠিতে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা ওসমান হাদির স্মরণে ঝালকাঠিতে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের দোয়া অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ সরকারের ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে: মির্জা ফখরুল নির্বাচন আয়োজনে গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অবকাশ নেই : সিইসি অস্ট্রিয়ায় মুসলিমদের সাথে সহাবস্থান কঠিন, ÖVP দলের ইনস্টাগ্রামের পোস্ট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ শরীক দলের রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিবার্চন অফিসের উদাসিনতায় ভোগান্তিতে নাগরিকরা

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ২০ সময় দেখুন

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে জেলা নির্বাচন অফিসের উদাসিনতার জন্য জনসাধারণকে মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে ফেলছে। এর ফলে ভোটাররা মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।রহিমা বেগম নামের এক নারীসহ প্রায় ৩০ জনকে অস্পষ্ট ও ব্যাবহার অনুপযোগী আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।

রহিমা বেগম নামের এই নারী জানান মেয়ের ভর্তি পরীক্ষাজনিত কারনে আইডি কার্ডটি অত্যাবশ্যক হয়ে পরে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে গ্রাহকের নিকট মোবাইল ফোনে এসএমএস আসে। রহিমা সে আবেদনকৃত কাগজ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে তার সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি চাওয়ার পর কর্মরতরা জানান, অনলাইন থেকে কার্ড সংগ্রহ করুন অফিস থেকে নিতে চাইলে ৭দিন পর আসুন।

রহিমা শহরের কম্পিউটারের দোকানে যায়। অবাক করা বিষয় কার্ডটি অনলাইনে নেই। জনৈক কম্পিউটার দোকান মালিক জানান কার্ডটি নির্বাচন অফিসে প্রিন্ট হয়ে আছে আপনি নির্বাচন অফিস থেকে নিতে পারবেন। রহিমা আবার নির্বাচন অফিসে যান। সকাল-১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ঘুরেও কার্ড পায়নি রহিমা। অবশেষে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা নির্বাচন অফিস খুজে তার কার্ডটি পেলো। কার্ড হাতে পেয়ে রহিমা বেগমের খুশি হওয়ার কথা, কিন্তু কার্ডটি কার অস্পষ্ট ছাপার কারনে রহিমা বেগম নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি এবং কার্ডটিতে রহিমার ছবিটি ছাড়া আর কোনো লেখার ছাপ পড়েনি।

সাথে সাথে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন এটা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়া এবং কম্পিউটার অপারেটরের ত্রুটির কারনে এটা হতে পারে। নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দাবী করেন, প্রিন্টার খারাপ থাকার কারনে এই ধরনের ছাপা হয়েছে। সেগুলো পুনরায় আবেদন করে প্রিন্ট করে নিতে ২৩০টাকা ফি জমা দিতে হয়েছে। রহিমা প্রথম বার ২৩০টাকা জমা দিয়ে ব্যবহার অযোগ্য কার্ডটি পায় এবং আবারও তাকে ২৩০টাকা জমা দিয়ে কার্ড পেতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শারমিন আফরোজ বলেন, তাঁর কিছু করার নাই, সার্ভারে ১টি কার্ড ফি ছাড়া ২বার প্রিন্ট হয় না। এই ত্রুটিপূর্ণ কার্ড জেলা অফিস থেকে দেয়া হয়েছিল। জেলা অফিসের প্রিন্টার খারাপ ছিল এবং তা মেরামত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কিছু কার্ড অস্পষ্টভাবে ছাপার কারনে কিছু ভোটার আর্থিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে তাদের সংখ্যা ৩০ জনের মতো হতে পারে। এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী কার্ড অফিস থেকে বিতরন করা নিবার্চন অফিসের মানক্ষুণ্ন করেছে।

বাধন রায় /ইবিটাইমস

জনপ্রিয়

ঝালকাঠিতে ১২৩ কোটি টাকার সেতু নির্মাণে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

নিবার্চন অফিসের উদাসিনতায় ভোগান্তিতে নাগরিকরা

আপডেটের সময় ০৮:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে জেলা নির্বাচন অফিসের উদাসিনতার জন্য জনসাধারণকে মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে ফেলছে। এর ফলে ভোটাররা মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।রহিমা বেগম নামের এক নারীসহ প্রায় ৩০ জনকে অস্পষ্ট ও ব্যাবহার অনুপযোগী আইডি কার্ড দেয়া হয়েছে।

রহিমা বেগম নামের এই নারী জানান মেয়ের ভর্তি পরীক্ষাজনিত কারনে আইডি কার্ডটি অত্যাবশ্যক হয়ে পরে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে গ্রাহকের নিকট মোবাইল ফোনে এসএমএস আসে। রহিমা সে আবেদনকৃত কাগজ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে তার সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি চাওয়ার পর কর্মরতরা জানান, অনলাইন থেকে কার্ড সংগ্রহ করুন অফিস থেকে নিতে চাইলে ৭দিন পর আসুন।

রহিমা শহরের কম্পিউটারের দোকানে যায়। অবাক করা বিষয় কার্ডটি অনলাইনে নেই। জনৈক কম্পিউটার দোকান মালিক জানান কার্ডটি নির্বাচন অফিসে প্রিন্ট হয়ে আছে আপনি নির্বাচন অফিস থেকে নিতে পারবেন। রহিমা আবার নির্বাচন অফিসে যান। সকাল-১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ঘুরেও কার্ড পায়নি রহিমা। অবশেষে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা নির্বাচন অফিস খুজে তার কার্ডটি পেলো। কার্ড হাতে পেয়ে রহিমা বেগমের খুশি হওয়ার কথা, কিন্তু কার্ডটি কার অস্পষ্ট ছাপার কারনে রহিমা বেগম নিজেও বুঝে উঠতে পারেনি এবং কার্ডটিতে রহিমার ছবিটি ছাড়া আর কোনো লেখার ছাপ পড়েনি।

সাথে সাথে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন এটা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে দেয়া এবং কম্পিউটার অপারেটরের ত্রুটির কারনে এটা হতে পারে। নির্বাচন অফিসের কম্পিউটার অপারেটর দাবী করেন, প্রিন্টার খারাপ থাকার কারনে এই ধরনের ছাপা হয়েছে। সেগুলো পুনরায় আবেদন করে প্রিন্ট করে নিতে ২৩০টাকা ফি জমা দিতে হয়েছে। রহিমা প্রথম বার ২৩০টাকা জমা দিয়ে ব্যবহার অযোগ্য কার্ডটি পায় এবং আবারও তাকে ২৩০টাকা জমা দিয়ে কার্ড পেতে হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার শারমিন আফরোজ বলেন, তাঁর কিছু করার নাই, সার্ভারে ১টি কার্ড ফি ছাড়া ২বার প্রিন্ট হয় না। এই ত্রুটিপূর্ণ কার্ড জেলা অফিস থেকে দেয়া হয়েছিল। জেলা অফিসের প্রিন্টার খারাপ ছিল এবং তা মেরামত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কিছু কার্ড অস্পষ্টভাবে ছাপার কারনে কিছু ভোটার আর্থিক ও মানুষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে তাদের সংখ্যা ৩০ জনের মতো হতে পারে। এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী কার্ড অফিস থেকে বিতরন করা নিবার্চন অফিসের মানক্ষুণ্ন করেছে।

বাধন রায় /ইবিটাইমস