ভিয়েনা ১০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ডেঙ্গুেত আরও ৪ জনের প্রাণহানি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনও সময়সীমা নেই – ট্রাম্প জার্মানিতে শরণার্থীদের অনেকেই এখনও দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে আছে মঙ্গলবার অস্ট্রিয়া সফরে আসছেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট স্টাইনমায়ার ওমানে দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর লাশ ফিরল দেশে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী, সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না: ইসি আনোয়ারুল তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়লো ১৯ মাছের আড়ৎ

বসুন্ধরাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৮ সময় দেখুন

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ফুটবলের মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। কমলাপুরের শহীদ মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে বসুন্ধরাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাস করেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ১০ হাজারের মতো দর্শক এসেছিলেন ফাইনাল উপভোগ করতে। দুই জায়ান্টের লড়াই দেখতে জার্সি গায়ে ছিল অনেকেরই। ছিল পতাকার সঙ্গে বাদ্য-বাজনাও। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর উত্তেজনাকর ম্যাচ দেখে হতাশ হতে হয়নি তাদের।

আবাহনীর ৪-১-৪-১ ছকের বিপরীতে বসুন্ধরা ৪-৩-২-১ ছকে জমজমাট ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ম্যাচের শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে আবাহনী। রাফায়েল অগাস্তো এই ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলেছেন। দানিয়েল কনিলদ্রেসও কম যাননি। দলের সমন্বয়ও হয়েছে চমৎকার। তাতে পুরো দলই উজ্জীবিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিপরীতে বসুন্ধরা প্রথমার্ধে তবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, কিন্তু বিরতির পর কোনও প্রতিরোধই করতে পারেনি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে!

ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে ভয় ধরিয়েছে আবাহনী। ১০ মিনিটে নুরুল নাইম ফয়সালের ক্রসে কলিনদ্রেসের হেড গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো সহজেই তালুবন্দি করেন। পরের মিনিটে রবিনিয়োর জোরালো শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। ১৭ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি কিক গোলকিপার জিকো হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৩ মিনিট পর আবাহনী সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। রাকিবের ডান প্রান্তের ক্রসে ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। তবে কলিনদ্রেস বল পেয়ে লক্ষ্যে শট নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার হয়।

২২ মিনিটে বসুন্ধরার বসনিয়ান রিক্রুট স্তোয়াইন ভ্রেনিস হঠাৎ এক জোরালো শটে চমকে দিয়েছিলেন গোলকিপার মাহফুজ হাসান প্রীতমকে। দুই হাতে ফিস্ট করেন আবাহনী স্টপার। ২ মিনিট পর ভ্রেনিসের ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে আবাহনী আবারও সুযোগ পায়। বিপলু আহমেদকে কাটিয়ে বল বের করে নিতে চেয়েছিলেন অগাস্তো, তবে বলে গতি থাকায় তা চলে যায় জিকোর হাতে।

গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখে বিরতিতে যায় দুই দল। সেখান থেকে ফিরে আবাহনীর প্রায় একচেটিয়া প্রাধান্য। এই মৌসুমে প্রথমবার খেলতে এসে রাকিব ছিলেন দুর্বার। সঙ্গে চোট কাটিয়ে ফিরে আসে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তনও দুর্দান্ত। তাদের তিনটি গোলই এসেছে এই অর্ধে।

৫৪ মিনিটে প্রথম গোল আসে। অগাস্তোর চমৎকার থ্রু থেকে রাকিব বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত প্লেসিং করে জাল কাঁপান। সমর্থকরা ফেটে পড়েন উল্লাসে। তরুণ ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও গতির কাছে হার মানেন।

৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। কলিনদ্রেসকে নিজেদের সীমানায় ফেলে দেন রিমন হোসেন। রেফারি সাইমন সানি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট কিক থেকে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল কাঁপান দোরিয়েন্তন।

৭২ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম তোলেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। অগাস্তোর কর্নার থেকে মিলাদ শেখ সোলায়মানির বাইলাইন থেকে হেড, দোরিয়েন্তন তা পেয়ে ডান পায়ের শটে ৩-০ করেন। বাকি সময়ে বসুন্ধরা ম্যাচে ফেরার চেষ্টাই যা করেছে, কিন্তু কাজে আসেনি।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

বসুন্ধরাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

আপডেটের সময় ০৬:০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ফুটবলের মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। কমলাপুরের শহীদ মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে বসুন্ধরাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাস করেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ১০ হাজারের মতো দর্শক এসেছিলেন ফাইনাল উপভোগ করতে। দুই জায়ান্টের লড়াই দেখতে জার্সি গায়ে ছিল অনেকেরই। ছিল পতাকার সঙ্গে বাদ্য-বাজনাও। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর উত্তেজনাকর ম্যাচ দেখে হতাশ হতে হয়নি তাদের।

আবাহনীর ৪-১-৪-১ ছকের বিপরীতে বসুন্ধরা ৪-৩-২-১ ছকে জমজমাট ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ম্যাচের শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে আবাহনী। রাফায়েল অগাস্তো এই ম্যাচেও দুর্দান্ত খেলেছেন। দানিয়েল কনিলদ্রেসও কম যাননি। দলের সমন্বয়ও হয়েছে চমৎকার। তাতে পুরো দলই উজ্জীবিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিপরীতে বসুন্ধরা প্রথমার্ধে তবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, কিন্তু বিরতির পর কোনও প্রতিরোধই করতে পারেনি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে!

ম্যাচের প্রথম আক্রমণ করে ভয় ধরিয়েছে আবাহনী। ১০ মিনিটে নুরুল নাইম ফয়সালের ক্রসে কলিনদ্রেসের হেড গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো সহজেই তালুবন্দি করেন। পরের মিনিটে রবিনিয়োর জোরালো শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে যায়। ১৭ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি কিক গোলকিপার জিকো হাত দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৩ মিনিট পর আবাহনী সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। রাকিবের ডান প্রান্তের ক্রসে ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। তবে কলিনদ্রেস বল পেয়ে লক্ষ্যে শট নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার হয়।

২২ মিনিটে বসুন্ধরার বসনিয়ান রিক্রুট স্তোয়াইন ভ্রেনিস হঠাৎ এক জোরালো শটে চমকে দিয়েছিলেন গোলকিপার মাহফুজ হাসান প্রীতমকে। দুই হাতে ফিস্ট করেন আবাহনী স্টপার। ২ মিনিট পর ভ্রেনিসের ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে আবাহনী আবারও সুযোগ পায়। বিপলু আহমেদকে কাটিয়ে বল বের করে নিতে চেয়েছিলেন অগাস্তো, তবে বলে গতি থাকায় তা চলে যায় জিকোর হাতে।

গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখে বিরতিতে যায় দুই দল। সেখান থেকে ফিরে আবাহনীর প্রায় একচেটিয়া প্রাধান্য। এই মৌসুমে প্রথমবার খেলতে এসে রাকিব ছিলেন দুর্বার। সঙ্গে চোট কাটিয়ে ফিরে আসে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তনও দুর্দান্ত। তাদের তিনটি গোলই এসেছে এই অর্ধে।

৫৪ মিনিটে প্রথম গোল আসে। অগাস্তোর চমৎকার থ্রু থেকে রাকিব বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বুদ্ধিদীপ্ত প্লেসিং করে জাল কাঁপান। সমর্থকরা ফেটে পড়েন উল্লাসে। তরুণ ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও গতির কাছে হার মানেন।

৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। কলিনদ্রেসকে নিজেদের সীমানায় ফেলে দেন রিমন হোসেন। রেফারি সাইমন সানি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। স্পট কিক থেকে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে বুলেট গতির শটে জাল কাঁপান দোরিয়েন্তন।

৭২ মিনিটে আবারও স্কোরশিটে নাম তোলেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। অগাস্তোর কর্নার থেকে মিলাদ শেখ সোলায়মানির বাইলাইন থেকে হেড, দোরিয়েন্তন তা পেয়ে ডান পায়ের শটে ৩-০ করেন। বাকি সময়ে বসুন্ধরা ম্যাচে ফেরার চেষ্টাই যা করেছে, কিন্তু কাজে আসেনি।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ