ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবলিয়া ইউনিয়নের হাজরাগাতি গ্রামে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই গ্রামের মাসুম হাওলাদারের বাড়ির সকলকে অজ্ঞান করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৭ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১টায় দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞান অবস্থায় মাসুম হাওলাদার(২২), তার স্ত্রী সুমি বেগম(১৯), মা হাজেরা বেগম(৬০) ও বাড়িতে বেরাতে আসা আত্মিয় রবিউলকে(৮) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা ঘরের গ্রিল(জানালা) খুলে বিতরে প্রবেশ করে এবং চেতনানাশক স্প্রে প্রয়োগ করে সকলকে অজ্ঞান করে মালামাল নিয়ে যায়।
গৃহিনী সুমি জানায়, দুর্বৃত্তরা পাশের বাড়িতে অনুরূপ হানা দিলে সেই পরিবারে লোকজন টের পেয়ে যায় এবং আমাদেরকে সতর্ক করতে ডাকা ডাকি করে। তারা আমাদের সারা না পেয়ে জানালা ভাঙ্গা ভেতরে প্রবেশ করে এবং সকলকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন ।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানায় অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে মাসুম হাওলাদারের পরিবার জানায়।
অন্যদিকে ঝালকাঠিতে করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় রবিবার ১জনের মৃত্যু ও ১০৭জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলাধীন কানুদাসকাঠী গ্রামের মনজুয়ারা বেগম(৪৫) মৃত্যু বরণ করেছে। এনিয়ে জেলায় ৫৯জন জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৬৮১জন আক্রান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ এপর্যন্ত ১১৩০৫জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ন্যাগেটিভ হয়েছে ৭৪০০জন। সুস্থ্য হয়েছে ১৭১১জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৬জন ও হোম আইসোলিশনে ১৮৫৮জন রয়েছে।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ঝালকাঠিতে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমান্বয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ঘন্টায় জেলায় ৮৭৭জন এই প্রতিশোধক টিকা গ্রহণ করেছে এদের মধ্যে ৪৯১জন পুরুষ ও ৩৮৬জন মহিলা। হাসাপাতলে এতোদিন একটি করিডোরে বসে ভ্যাকসিন দেযা হত। কিন্তু চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিলা ও পুরুষদরে দুটি ইউনিট করে পৃথকভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে।
সদর হাসাপালের আবাসিক চিকিৎসক জানান, টিকা গ্রহণকারীদের চাপ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্গিত হচ্ছে এজন্য সদর উপজেলায় আর একটি ইউনিট খোলা হলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে টিকা দেয়া সম্ভব হতো।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রথম পর্যায়ে ১৯হাজার ৩৪৮জন ভ্যাকসিন নিয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭১১জন পুরুষ ও ৬৬৩৭জন মহিলা এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৬২জন। এদের মধ্যে ১০হাজার ৭১০জন পুরুষ ও ৪৯৫২জন মহিলা। বর্তমানে ৬হাজার ২৪১টি ভ্যকাসিন মজুদ রেয়েছে।
বাধন রায়/ ইবিটাইমস/ এম আর