ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট; পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ে বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে ব্যাপক সাজসজ্জা আর বর যাত্রীর জন্য উন্নত মানের খাবার তৈরীর আয়োজন চলছে। এমন সময় সেখানে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে কনে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে পৌঁছে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা রানী ধর। পুলিশ আর ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে আসা অতিথি সহ কনে পক্ষের লোকজন পালিয়ে গেলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (১৮ জুলাই) রাতে ওই উপজেলার ১ নং ভিটাবাড়ি ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে।
জানা গেছে, উপজেলার ভিটাবাড়িয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৩) এর সাথে একই ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু জাফরের ছেলে মো. রিফাত (২৯) এর সাথে বিবাহের আয়োজন করা হয়। বর পক্ষের লোকজন রাতে মেয়ের বাড়িতে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থাণীয়রা
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর কে মুঠো ফোনে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে হাজির হয়। এসময় তাদের
উপস্থিতি টের পেয়ে বর পক্ষের লোকজন বাড়িতে না ঢুকেই ফেরত চলে যান। পরে মেয়ের বাবা এবং চাচা ১৮ বছর আগে তাকে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সীমা রানী ধর জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সেখানে বাল্য বিয়ে হচ্ছে। তাই সেখানে গিয়ে বর পক্ষকে না পেয়েও কনে পক্ষকে কনের ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দিবে না মর্মে একটি মুচলেকা রাখি।
এইচ এম লাহেল মাহমুদ /ইবিটাইমস