হবিগঞ্জের‌ শায়েস্তাগঞ্জে ২১ মন ওজনের রাজার দাম ৫ লাখ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: রাজা কোনো ব্যক্তি নয়। হবিগঞ্জের  শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবেরচক  গ্রামের ইকবাল মিয়ার পালিত এক ষাঁড়। এ বছরে উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে এই ষাঁড়টিকে। তাইতো আদর করে রাজা নাম দিয়েছেন খামারী। ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা,  ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা আর ওজন ২১ মন। নাম তার রাজা বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে ৪ বছর বয়সী রাজা কে।

জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ৫শ টাকা। খাবারের মেন্যুতে থাকে  খৈইল,ক্ষের, ভূষি, ধানের কুড়া, ডাল আর নিজের জমিতে লাগানো ঘাস।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সেই রাজা মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ৫ লক্ষ টাকা। রাজার আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচাইতে বড় পশু বলে দাবী খামারীর।

রাজা কে দেখতে প্রতিদিন ওই খামারীর বাড়িতে ভীড় করেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ।

লামিয়া ডেইরি ফার্মের স্বত্তাধিকারি ইকবাল মিয়া বলেন সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট হিসেবে চাকুরি করতেন। অবসরে আসার পর ৫ বছর আগে ১২ টি গাভী নিয়ে লামিয়া ডেইরী ফার্ম শুরু করেন।

দুধ বিক্রি করেন আশেপাশের এলাকায়। একটি গাভীর বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হতে থাকে। এজন্য এর নাম রাখেন রাজা। এই চার বছরে কোন রকম সম্পুর্ন বিশুদ্ধ খাবার খেয়ে বড় হয়েছে রাজা। কোন প্রকার মোটাতাজার ঔষধ বা ইনজেকশন ছাড়াই গরুটির ওজন ২১ মন হয়েছে।

গত কোরবানীর ঈদের সময় গরুটির হাটে তুলে ছিলেন কিন্তু আশানুরোপ দাম না পাওয়ায় বিক্রি করেননি। এবার তিনি রাজার দাম হাঁকাচ্ছেন ৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ঢাকায় হলে এই গরু ৮/১০ লাখ টাকা দাম হইতো। কিন্তু মফস্বলে এতো দামে কেউ কিনবে না তাই ৫ লাখ টাকা দাম চাই।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) রমাপদ দে বলেন, রাজা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাড়। প্রানী সম্পদ প্রর্দশনি মেলায় বৃহৎ ষাড় হিসেবে রাজা পুরুষ্কুত হয়েছে।আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি  রাজার দেখভাল করছি। রাজা সাধারন খাবার খেয়েই বেড়ে উঠছে। মোটাতাজা করনের জন্য কোন খাবার খাওয়ানো হয়নি।

মোতাব্বির হোসেন কাজল /ইবিটাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »