ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল চত্বরে বসানে হয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। এই প্লান্ট এর সকল ধরনের মেশিনারী সংযোজন করা হয়েছে তবে, লিকুইড সরবরাহ না করায় প্লান্ট থেকে অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে না। ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এই প্লান্ট নির্মানে কাজ করেছে। এর ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার ৪৩৪ লিটার।
এ ছাড়াও এই প্লান্টের আওতায় সরবরাহ লাইন সকল ওয়ার্ডে রুগির বেড পর্যন্ত ও বর্হিবিভাগের ডাক্তারদের রোগী দেখার কক্ষসহ জরুরী বিভাগেও বিতরণ লাইন বসানে হয়েছে। রোগীর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫লি. থেকে ৩৫ লি. পর্যন্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। প্লান্টে একবার লিকুইড দেয়া হলে ১শ রোগী ৩ মাস ব্যবহার করতে পারবে।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান লিকুইড সরবরাহ করে অক্সিজেন প্লান্টটি চালু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সপেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লিঃ কে একধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে এবং মুঠো ফোনেও অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকেও জানান হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঝালকাঠি ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমীর হোসেন আমুকেও বিষয়টি মঙ্গলবার অবহিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, বর্তমানে এই প্লান্টটিতে অক্সিজেন উৎপাদন চালু না থাকায় প্রতিদিন হাসপাতালের জন্য ২০টি বড় আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডারে অক্সিজেন বরিশাল থেকে ভরে আনতে হচ্ছে। লকডাউনকালীন সময় পবিরহন ও সিলিন্ডার ওঠা নামানোর জন্য শ্রমিক সংকট রয়েছে। এরমধ্যেও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ বজায় রাখতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি জনিত বিপর্যয় শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ ১০০ শয্যার হাসপাতাল গুলোতে অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় প্রচুর অর্থ ব্যায়ে এই প্লান্ট নির্মান কাজ শুরু করে।
এদিকে ঝালকাঠিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসে ৯৭জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় এপর্যন্ত ২৯৩০জন আক্রান্ত ও ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ৯২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে, এদের মধ্যে ৬১১৯জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ১৫২৩জন সুস্থ হয়েছে। বর্তমানে ১০৭১ জন হোম ও ৪২ জন হাসপাতাল আইসোলিয়েশনে রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানান ।
বাধন রায় /ইবিটাইমস