ভিয়েনা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলছে লকডাউন, চলছে পরিবহন, নেই স্বাস্খ্যবিধির বালাই

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
  • ৯ সময় দেখুন

ঢাকাঃ করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় বাংলাদেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। এই লকডাউনের মধ্যেই সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বিভাগীয় ও শিল্প শহরগুলোতে চালু করা হয়েছে গণপরিবহন।

লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। প্রথম দু’দিন অফিসগামীরা চরম ভোগান্তি পোহালেও গণপরিবহন চালু হওয়ায় সেটা কমেছে।

রাজধানীতে চলাচল করা মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণ নেই। বেশিরভাগ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। বিভিন্ন এলাককর হোটেল ও চায়ের দোকানগুলোতে রয়েছে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি। সরকারের নির্দেশনা না মেনেই হোটেল বসেই খাবার খাচ্ছেন সাধারন মানুষ।

এদিকে, রাজধানীতে গণপরিবহন চালু হলেও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে নাগরিকদের। বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রী পরিবহন করছে। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে ৬০ শতাংশ বেশি। তবে কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা যায়নি। ফলে প্রত্যেক যাত্রী হাতল ব্যবহার এবং আসন ধরে বাসে ওঠানামা করছেন। এতে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে না। ফলে একই হাতল এবং আসন ধরে প্রত্যেক যাত্রীকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। এভাবে একজনের হাতের জীবাণু খুব সহজেই অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চালক এবং চালকের সহকারীরা জানান, গত বছর করোনার সময় যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছিল বাসের মালিকরা। কিন্তু এবার যাত্রীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়নি। বিষয়টি তারা বাস মালিককে জানাবেন।

এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রতিটি বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকার কথা। না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

ঢাকা/ইবিটাইমস /আরএন

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

চলছে লকডাউন, চলছে পরিবহন, নেই স্বাস্খ্যবিধির বালাই

আপডেটের সময় ০৭:১০:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় বাংলাদেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। এই লকডাউনের মধ্যেই সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য বিভাগীয় ও শিল্প শহরগুলোতে চালু করা হয়েছে গণপরিবহন।

লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। প্রথম দু’দিন অফিসগামীরা চরম ভোগান্তি পোহালেও গণপরিবহন চালু হওয়ায় সেটা কমেছে।

রাজধানীতে চলাচল করা মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণ নেই। বেশিরভাগ মানুষের মুখেই নেই মাস্ক। বিভিন্ন এলাককর হোটেল ও চায়ের দোকানগুলোতে রয়েছে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি। সরকারের নির্দেশনা না মেনেই হোটেল বসেই খাবার খাচ্ছেন সাধারন মানুষ।

এদিকে, রাজধানীতে গণপরিবহন চালু হলেও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে নাগরিকদের। বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখেই যাত্রী পরিবহন করছে। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে ৬০ শতাংশ বেশি। তবে কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা যায়নি। ফলে প্রত্যেক যাত্রী হাতল ব্যবহার এবং আসন ধরে বাসে ওঠানামা করছেন। এতে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে না। ফলে একই হাতল এবং আসন ধরে প্রত্যেক যাত্রীকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। এভাবে একজনের হাতের জীবাণু খুব সহজেই অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চালক এবং চালকের সহকারীরা জানান, গত বছর করোনার সময় যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছিল বাসের মালিকরা। কিন্তু এবার যাত্রীদের সুরক্ষায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়নি। বিষয়টি তারা বাস মালিককে জানাবেন।

এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, প্রতিটি বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকার কথা। না থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।

ঢাকা/ইবিটাইমস /আরএন