ভিয়েনা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির রমরমা বাণিজ্য : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৫১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ১১৯ সময় দেখুন

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদরে গোপনে একটি অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছে একটি প্রতারক চক্র। হাঙ্গেরিতে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম স্বপন। তার ছেলে ইউরোপে থাকায় সহজেই বিশ্বাস অর্জন করেন স্বপন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনপ্রতি ১৮-২০ লাখ টাকায় হাঙ্গেরি পাঠানোর চুক্তি হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫-৬ লাখ টাকা নেওয়া হয় ১৬ যুবকের কাছ থেকে। কিন্তু বাস্তবে কেউই বিদেশে যেতে পারেননি। উল্লেখযোগ্য ভুক্তভোগীরা হলেন: মনি, সাফি, হুমায়ূন কবির, শাওন, আরিফ, সাহেদ ও দর্পণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বপন ভিডিওকলে তার ছেলেকে দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখান। কেউ কেউ ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলেন, এখন চরম দুঃসময় পার করছেন। বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কেউ কেউ। গ্রাম্য প্রভাবের কারণে স্বপনের কাছ থেকে পাওনা ফেরত চাইতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

সূত্র মতে, স্বপনের পরিবার আগে হোমিওপ্যাথি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে সময়ও নানা অনিয়মে পুলিশের নজরে আসে। বর্তমানে ভুক্তভোগীদের টাকা দিয়ে স্বপন ঢাকায় ও টাঙ্গাইলে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মীরের বেতকার অফিস বন্ধ করে বর্তমানে আকুর টাকুর পাড়ায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে কয়েকটি রুম নিয়ে গোপনে ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি। অফিসে কোনো সাইনবোর্ড নেই, ফোনেই সব যোগাযোগ হয়। ফলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে এ ব্যবসা, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্বপন দাবি করেন, “আমি এখানে অফিস নেইনি, শুধু সময় কাটাই। পরিচিতরা কাউকে পাঠাতে বললে সহযোগিতা করি।”

উল্লেখ্য, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) একটি আবেদন করে। মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের অভিযানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির রমরমা বাণিজ্য : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আপডেটের সময় ০৮:৫১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদরে গোপনে একটি অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছে একটি প্রতারক চক্র। হাঙ্গেরিতে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম স্বপন। তার ছেলে ইউরোপে থাকায় সহজেই বিশ্বাস অর্জন করেন স্বপন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনপ্রতি ১৮-২০ লাখ টাকায় হাঙ্গেরি পাঠানোর চুক্তি হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫-৬ লাখ টাকা নেওয়া হয় ১৬ যুবকের কাছ থেকে। কিন্তু বাস্তবে কেউই বিদেশে যেতে পারেননি। উল্লেখযোগ্য ভুক্তভোগীরা হলেন: মনি, সাফি, হুমায়ূন কবির, শাওন, আরিফ, সাহেদ ও দর্পণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বপন ভিডিওকলে তার ছেলেকে দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখান। কেউ কেউ ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলেন, এখন চরম দুঃসময় পার করছেন। বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কেউ কেউ। গ্রাম্য প্রভাবের কারণে স্বপনের কাছ থেকে পাওনা ফেরত চাইতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

সূত্র মতে, স্বপনের পরিবার আগে হোমিওপ্যাথি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে সময়ও নানা অনিয়মে পুলিশের নজরে আসে। বর্তমানে ভুক্তভোগীদের টাকা দিয়ে স্বপন ঢাকায় ও টাঙ্গাইলে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মীরের বেতকার অফিস বন্ধ করে বর্তমানে আকুর টাকুর পাড়ায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে কয়েকটি রুম নিয়ে গোপনে ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি। অফিসে কোনো সাইনবোর্ড নেই, ফোনেই সব যোগাযোগ হয়। ফলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে এ ব্যবসা, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্বপন দাবি করেন, “আমি এখানে অফিস নেইনি, শুধু সময় কাটাই। পরিচিতরা কাউকে পাঠাতে বললে সহযোগিতা করি।”

উল্লেখ্য, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) একটি আবেদন করে। মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের অভিযানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস