EuroBanglaTimes 
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার আমেরিকান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন হয়। এতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক ভোট প্রদান করেন। এই মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাংলাদেশি বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন যথাক্রমে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর শেখ রহমান ও নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের সিনেটর মো. মাসুদুর রহমান ও নিউ হ্যাম্পশায়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সদস্য আবুল খান।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ৩৫টি ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবকটিতে ভোট হয়। এছাড়াও ৩৬টি অঙ্গরাজ্যে গভর্নর পদে এবং অঙ্গরাজ্যগুলোর আইনসভারও নির্বাচন হয়।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন বাংলাদেশি আমেরিকান শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন। জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটে প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটে প্রথমবারের মতো যাচ্ছেন মো. মাসুদুর রহমান। তারা সবাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্যদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে টানা পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল খান। চার বাংলাদেশি আমেরিকানের বিজয়ে আনন্দিত হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এখানে উল্লেখ্য যে,যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দন গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এক সপ্তাহ অস্ট্রিয়ায় তার খালাত ভাই মাসুদুর রহমান মাসুদের আমন্ত্রণে এক ব্যক্তিগত সফর করেছেন।
তখন তিনি আমাদের ইউরো বাংলা টাইমসের অস্ট্রিয়া ব্যুরো প্রধানের সাথে এক একান্ত সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে স্টেট সিনেটর শেখ মুজাহিদুর রহমান বলেন, আমরা প্রবাসীরা যে দেশে আছি সে দেশের মূলধারার রাজনীতির সাথেও সম্পৃক্ত থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সিনেটর শেখ মুজাহিদুর রহমান অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির দ্বিতীয় প্রজন্মের সন্তান মাহমুদুর রহমান নয়নের অস্ট্রিয়ার মূলধারার রাজনীতির সাথে সক্রিয়তা ও সাফল্যের জন্য প্রশংসা করেন।
স্টেট সিনেটর শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দনকে গত ১ অক্টোবর অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে রাজধানী ভিয়েনায় এক নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
কবির আহমেদ/ইবিটাইমস
