ভিয়েনা ০২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট দেশে অবতরণ করেছে লালমোহন পৌরসভার সাবেক মেয়র তুহিন গ্রেফতার হাদীর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে জামায়াতে বিক্ষোভ মিছিল ভোলা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম! বন্ধ থাকা কাজ শুরু করলেও জানেনা অফিস কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা আশাবাদী, তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ ভোলা-৩ আসনে বিডিপি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ নয়ানীগ্রাম যুব তাফসীর কমিটির উদ্যোগে দুই দিনের ইসলামী মহা সম্মেলন টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ভারতের তিন রাজ্যে কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৪১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১০ সময় দেখুন

ইবিটাইমস ডেস্ক : ভারতের কমপক্ষে তিনটি রাজ্য একটি কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ করেছে। সিরাপটিতে একটি বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন অনুসারে, সিরাপটি খেয়ে বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

আগস্টের শেষের দিক থেকে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান রাজ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে নয় শিশুর মৃত্যুর কারণ তাদের নির্ধারিত কাশির ওষুধের সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, শিশুদের খাওয়া সিরাপের নমুনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এটি ডাইথিলিন গ্লাইথিলিন (ডিইজি) দ্বারা দূষিত ছিল, যা শিল্পে ব্যবহৃত একটি বিষাক্ত পদার্থ। এটি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পরীক্ষার পর নমুনাগুলোতে অনুমোদিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি ডিইজি পাওয়া গেছে।’

স্রেসান ফার্মা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর একটি ইউনিটে (কারখানায়) কোল্ড্রিফ কাফ সিরাপ ব্র্যান্ড নামে এই সিরাপটি তৈরি করে।

কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, ‘এই সিরাপের বিক্রি সমগ্র মধ্যপ্রদেশ জুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

এই অঞ্চলেই বেশিরভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সিরাপটি প্রস্তুতকারক কোম্পানির অন্যান্য পণ্য বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের কর্তৃপক্ষও পণ্যটি নিষিদ্ধ করেছে।

ভারতে উৎপাদিত কাশির সিরাপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী তদন্তের আওতায় এসেছে এবং বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২০২২ সালে গাম্বিয়ায় ৭০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যুও অন্তর্ভুক্ত।
ঢাকা/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়

হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে নেয়া হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ভারতের তিন রাজ্যে কাশির সিরাপ নিষিদ্ধ

আপডেটের সময় ০২:৪১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ইবিটাইমস ডেস্ক : ভারতের কমপক্ষে তিনটি রাজ্য একটি কাশির সিরাপকে নিষিদ্ধ করেছে। সিরাপটিতে একটি বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন অনুসারে, সিরাপটি খেয়ে বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

আগস্টের শেষের দিক থেকে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান রাজ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী কমপক্ষে নয় শিশুর মৃত্যুর কারণ তাদের নির্ধারিত কাশির ওষুধের সাথে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, শিশুদের খাওয়া সিরাপের নমুনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এটি ডাইথিলিন গ্লাইথিলিন (ডিইজি) দ্বারা দূষিত ছিল, যা শিল্পে ব্যবহৃত একটি বিষাক্ত পদার্থ। এটি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পরীক্ষার পর নমুনাগুলোতে অনুমোদিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি ডিইজি পাওয়া গেছে।’

স্রেসান ফার্মা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর একটি ইউনিটে (কারখানায়) কোল্ড্রিফ কাফ সিরাপ ব্র্যান্ড নামে এই সিরাপটি তৈরি করে।

কেন্দ্রীয় রাজ্য মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, ‘এই সিরাপের বিক্রি সমগ্র মধ্যপ্রদেশ জুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

এই অঞ্চলেই বেশিরভাগ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সিরাপটি প্রস্তুতকারক কোম্পানির অন্যান্য পণ্য বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ু ও কেরালা রাজ্যের কর্তৃপক্ষও পণ্যটি নিষিদ্ধ করেছে।

ভারতে উৎপাদিত কাশির সিরাপ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী তদন্তের আওতায় এসেছে এবং বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২০২২ সালে গাম্বিয়ায় ৭০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যুও অন্তর্ভুক্ত।
ঢাকা/এসএস