ভিয়েনা ১০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের রোমানিয়া-বুলগেরিয়ার যৌথ অভিযানে ৮ মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার মাধবপুরে ইঞ্জিন বিকল, ৩ ঘন্টা পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় যাত্রা বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় সেতুসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ভোলাবাসীর অবস্থান পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ৭০,৬৬০ প্রবাসীর নিবন্ধন বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে লালমোহনে বিক্ষোভ লালমোহনে এসটিএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ জয়লাভ খাল–বিলহীন খিলগাতীতে সাড়ে ৯ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ, প্রশ্ন স্থানীয়দের

টাঙ্গাইলে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির রমরমা বাণিজ্য : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৫১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭ সময় দেখুন

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদরে গোপনে একটি অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছে একটি প্রতারক চক্র। হাঙ্গেরিতে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম স্বপন। তার ছেলে ইউরোপে থাকায় সহজেই বিশ্বাস অর্জন করেন স্বপন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনপ্রতি ১৮-২০ লাখ টাকায় হাঙ্গেরি পাঠানোর চুক্তি হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫-৬ লাখ টাকা নেওয়া হয় ১৬ যুবকের কাছ থেকে। কিন্তু বাস্তবে কেউই বিদেশে যেতে পারেননি। উল্লেখযোগ্য ভুক্তভোগীরা হলেন: মনি, সাফি, হুমায়ূন কবির, শাওন, আরিফ, সাহেদ ও দর্পণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বপন ভিডিওকলে তার ছেলেকে দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখান। কেউ কেউ ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলেন, এখন চরম দুঃসময় পার করছেন। বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কেউ কেউ। গ্রাম্য প্রভাবের কারণে স্বপনের কাছ থেকে পাওনা ফেরত চাইতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

সূত্র মতে, স্বপনের পরিবার আগে হোমিওপ্যাথি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে সময়ও নানা অনিয়মে পুলিশের নজরে আসে। বর্তমানে ভুক্তভোগীদের টাকা দিয়ে স্বপন ঢাকায় ও টাঙ্গাইলে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মীরের বেতকার অফিস বন্ধ করে বর্তমানে আকুর টাকুর পাড়ায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে কয়েকটি রুম নিয়ে গোপনে ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি। অফিসে কোনো সাইনবোর্ড নেই, ফোনেই সব যোগাযোগ হয়। ফলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে এ ব্যবসা, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্বপন দাবি করেন, “আমি এখানে অফিস নেইনি, শুধু সময় কাটাই। পরিচিতরা কাউকে পাঠাতে বললে সহযোগিতা করি।”

উল্লেখ্য, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) একটি আবেদন করে। মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের অভিযানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়

ইউরোপের অন্য কোনও দেশে রাশিয়ার হামলার ইচ্ছা নেই নিশ্চয়তা পুতিনের

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির রমরমা বাণিজ্য : রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

আপডেটের সময় ০৮:৫১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সদরে গোপনে একটি অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করছে একটি প্রতারক চক্র। হাঙ্গেরিতে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম স্বপন। তার ছেলে ইউরোপে থাকায় সহজেই বিশ্বাস অর্জন করেন স্বপন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনপ্রতি ১৮-২০ লাখ টাকায় হাঙ্গেরি পাঠানোর চুক্তি হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫-৬ লাখ টাকা নেওয়া হয় ১৬ যুবকের কাছ থেকে। কিন্তু বাস্তবে কেউই বিদেশে যেতে পারেননি। উল্লেখযোগ্য ভুক্তভোগীরা হলেন: মনি, সাফি, হুমায়ূন কবির, শাওন, আরিফ, সাহেদ ও দর্পণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বপন ভিডিওকলে তার ছেলেকে দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখান। কেউ কেউ ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলেন, এখন চরম দুঃসময় পার করছেন। বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কেউ কেউ। গ্রাম্য প্রভাবের কারণে স্বপনের কাছ থেকে পাওনা ফেরত চাইতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

সূত্র মতে, স্বপনের পরিবার আগে হোমিওপ্যাথি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং সে সময়ও নানা অনিয়মে পুলিশের নজরে আসে। বর্তমানে ভুক্তভোগীদের টাকা দিয়ে স্বপন ঢাকায় ও টাঙ্গাইলে দুটি ফ্ল্যাট ও একটি গাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, মীরের বেতকার অফিস বন্ধ করে বর্তমানে আকুর টাকুর পাড়ায় একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে কয়েকটি রুম নিয়ে গোপনে ব্যবসা চালাচ্ছেন তিনি। অফিসে কোনো সাইনবোর্ড নেই, ফোনেই সব যোগাযোগ হয়। ফলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন চলছে এ ব্যবসা, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্বপন দাবি করেন, “আমি এখানে অফিস নেইনি, শুধু সময় কাটাই। পরিচিতরা কাউকে পাঠাতে বললে সহযোগিতা করি।”

উল্লেখ্য, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের ৯ জুলাই অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) একটি আবেদন করে। মন্ত্রণালয় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের অভিযানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস