ভিয়েনা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুজনকে কৃত্রিম পা উপহার দিলো নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • ১৮ সময় দেখুন

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম লালমোহন-তজুমদ্দিনের উদ্যোগে দূর্ঘটনায় পা হারানো অসহায় দুজনকে কৃত্রিম পা উপহার দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে লালমোহন প্রেসক্লাবে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আব্দুর রহমান খোকার পক্ষ থেকে কৃত্রিম পা তুলে দেন ফোরামের সদস্যবৃন্দ। যাদের মধ্যে কৃত্রিম পা বিতরণ করা হয়েছে তারা হলেন, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন মিয়ার বাড়ির পিয়ারা বেগম (৫৫) ও তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের গেদু সর্দার বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান (৬২)।

এ উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম লালমোহন-তজুমদ্দিনের সমন্বয়ক সিদ্দিকুর রহমান শান্ত এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক আজিম খানের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল আজিজ শাহীন,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ লালমোহন উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি কাজী শাহে আলম, বাংলাদেশ হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান, ধলীগৌরনগর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, সেক্রেটারী ইলিয়াস মিয়া, জামায়াতে ইসলামী রমাগঞ্জ ইউনিয়নের সেক্রেটারী আহসান শরীফ, চতলা ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাও: মোস্তাফিজুর রহমান, রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমূখ।  

কৃত্রিম পা পাওয়া পিয়ারা বেগমের স্বামী কাঞ্চন মিয়া জানান, ৪ বছর আগে আমার স্ত্রী পরিত্যাক্ত একটি ব্লেড দিয়ে নখ কাটার পরে পায়ে ইনফেকশন হওয়ায় ডাক্তারের কাছে নেয়া হলে তার পা কেটে ফেলতে হয়। এরপর থেকে পা বিহীন দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে আমার স্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমার কোনো ছেলে নেই। ৬ মেয়ে মধ্যে ৪ টি মেয়ে বিবাহ দিয়েছি। স্বল্প আয়ের কারণে আমার স্ত্রীর কৃত্রিম পা লাগাতে পারিনাই। রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি মো. হেলাল স্যারের সাথে কৃত্রিম পায়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করলে তিনি নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের সাথে যোগাযোগ করে আমার স্ত্রীকে একটি ফ্রি কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দিয়েেেছন। আমি এই জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।  
কৃত্রিম পা পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৯ বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে আমার ডান পা ভাঙার কারণে কেটে ফেলতে হয়। এতদিন কস্ট করে মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য উঠিয়ে চলেছি। পরিচিত একজনের মাধ্যমে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের কাছ থেকে আজকে একটি কৃত্রিম পা পেয়েছি। এতে আমি ভালোভাবে চলতে পারবো। আমি ব্যারিস্টার মো. আব্দুর রহমান খোকার নিকট কৃতজ্ঞ।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

দুজনকে কৃত্রিম পা উপহার দিলো নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম

আপডেটের সময় ০২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

জাহিদ দুলাল, ভোলা দক্ষিণ : নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম লালমোহন-তজুমদ্দিনের উদ্যোগে দূর্ঘটনায় পা হারানো অসহায় দুজনকে কৃত্রিম পা উপহার দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে লালমোহন প্রেসক্লাবে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আব্দুর রহমান খোকার পক্ষ থেকে কৃত্রিম পা তুলে দেন ফোরামের সদস্যবৃন্দ। যাদের মধ্যে কৃত্রিম পা বিতরণ করা হয়েছে তারা হলেন, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন মিয়ার বাড়ির পিয়ারা বেগম (৫৫) ও তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের গেদু সর্দার বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান (৬২)।

এ উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক উন্নয়ন ফোরাম লালমোহন-তজুমদ্দিনের সমন্বয়ক সিদ্দিকুর রহমান শান্ত এর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক আজিম খানের সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোহেল আজিজ শাহীন,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকাস্থ লালমোহন উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি কাজী শাহে আলম, বাংলাদেশ হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনাল কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান, ধলীগৌরনগর শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, সেক্রেটারী ইলিয়াস মিয়া, জামায়াতে ইসলামী রমাগঞ্জ ইউনিয়নের সেক্রেটারী আহসান শরীফ, চতলা ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাও: মোস্তাফিজুর রহমান, রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমূখ।  

কৃত্রিম পা পাওয়া পিয়ারা বেগমের স্বামী কাঞ্চন মিয়া জানান, ৪ বছর আগে আমার স্ত্রী পরিত্যাক্ত একটি ব্লেড দিয়ে নখ কাটার পরে পায়ে ইনফেকশন হওয়ায় ডাক্তারের কাছে নেয়া হলে তার পা কেটে ফেলতে হয়। এরপর থেকে পা বিহীন দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে আমার স্ত্রী। তিনি আরো বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমার কোনো ছেলে নেই। ৬ মেয়ে মধ্যে ৪ টি মেয়ে বিবাহ দিয়েছি। স্বল্প আয়ের কারণে আমার স্ত্রীর কৃত্রিম পা লাগাতে পারিনাই। রমাগঞ্জ ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সভাপতি মো. হেলাল স্যারের সাথে কৃত্রিম পায়ের ব্যাপারে যোগাযোগ করলে তিনি নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের সাথে যোগাযোগ করে আমার স্ত্রীকে একটি ফ্রি কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দিয়েেেছন। আমি এই জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।  
কৃত্রিম পা পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৯ বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে আমার ডান পা ভাঙার কারণে কেটে ফেলতে হয়। এতদিন কস্ট করে মানুষের কাছে গিয়ে সাহায্য উঠিয়ে চলেছি। পরিচিত একজনের মাধ্যমে নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের কাছ থেকে আজকে একটি কৃত্রিম পা পেয়েছি। এতে আমি ভালোভাবে চলতে পারবো। আমি ব্যারিস্টার মো. আব্দুর রহমান খোকার নিকট কৃতজ্ঞ।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস