ভিয়েনা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে কালোবাজারে ওএমসের চাল-আটা বিক্রির হিড়িক

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৮:৩০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৬ সময় দেখুন

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ওএমএসের চাল, আটা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ ডিলারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে একাধিক ডিলারের বিরুদ্ধে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি খাদ্য কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনূল ইসলাম ভূঞা তার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. মুসা ও বিভিন্ন ট্যাগ অফিসারকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করেছেন।
এ কারণে ডিলাররা বস্তায় বস্তায় ওএমএসে চাল এবং আটা কালো বাজারে বিক্রি করলেও ঘুষ লেনদেনের কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
গত এক সপ্তাহে সরেজমিন, টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুর এলাকার ডিলার খলিলুর রহমান অন্তত ৩২ বস্তা আটা ও ২০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
গত মঙ্গলবার খলিলুর রহমান তার বরাদ্দের ১২ বস্তা আটা মিল থেকেই কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও দুই অটো রিকশা চাল মুরগির খাদ্যের বস্তার ভেতরে ভরে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
খলিললুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই চাল আটা বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও বেড়াবুচনা বউ বাজারের ডিলার রফিকুল ইসলাম তার বিক্রয় কর্মীর মাধ্যমে প্রতি দিন মিল থেকেই ৮ থেকে ১০ বস্তা আটা কালো বাজারে বিক্রি করেন। এছাড়াও তিনি এলেঙ্গা এক নারীর কাছে কালো বাজারে চাল বিক্রি করে থাকেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে একাধিক নিউজ হলেও খাদ্য কর্মকর্তারা তার নিয়ন্ত্রণে থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
কয়েক জন ডিলার জানান, প্রতি টন চাল আটা তুলতে খাদ্য অফিসে এক হাজার টাকা করে ঘুষ নিতে হয়। এছাড়াও বিক্রয় কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকেন তাদেরসহ উপজেলা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কালোবাজারে চাল আটা বিক্রি চলছে। যে কারনে নিউজ প্রকাশ হলেও জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করে।
শহরের আদালত পাড়ার ডিলার মাসুদ আল পলাশ বলেন, কালো বাজারে চাল আটা বিক্রি করলেও আমরা একা এই টাকা নেই না। এসব টাকা খাদ্য কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন।
টাঙ্গাইলের বেশির ভাগ ডিলার কালোবাজারে চাল আটা বিক্রি করে থাকেন। সব ম্যানেজ থাকায় কারো কিছুই হয় না।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, বাজিতপুরের খলিলের বিষয়ে বৃহস্পতিবার খোঁজ নেয়া হবে। এছাড়াও ইতিপূর্বে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
তবে ব্যবস্থা নেয়ার কোন কাগজপত্র সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Tag :
জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

টাঙ্গাইলে কালোবাজারে ওএমসের চাল-আটা বিক্রির হিড়িক

আপডেটের সময় ০৮:৩০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ওএমএসের চাল, আটা কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ ডিলারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে একাধিক ডিলারের বিরুদ্ধে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি খাদ্য কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মইনূল ইসলাম ভূঞা তার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. মুসা ও বিভিন্ন ট্যাগ অফিসারকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করেছেন।
এ কারণে ডিলাররা বস্তায় বস্তায় ওএমএসে চাল এবং আটা কালো বাজারে বিক্রি করলেও ঘুষ লেনদেনের কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
গত এক সপ্তাহে সরেজমিন, টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুর এলাকার ডিলার খলিলুর রহমান অন্তত ৩২ বস্তা আটা ও ২০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
গত মঙ্গলবার খলিলুর রহমান তার বরাদ্দের ১২ বস্তা আটা মিল থেকেই কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও দুই অটো রিকশা চাল মুরগির খাদ্যের বস্তার ভেতরে ভরে কালোবাজারে বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
খলিললুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই চাল আটা বিক্রি করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও বেড়াবুচনা বউ বাজারের ডিলার রফিকুল ইসলাম তার বিক্রয় কর্মীর মাধ্যমে প্রতি দিন মিল থেকেই ৮ থেকে ১০ বস্তা আটা কালো বাজারে বিক্রি করেন। এছাড়াও তিনি এলেঙ্গা এক নারীর কাছে কালো বাজারে চাল বিক্রি করে থাকেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে একাধিক নিউজ হলেও খাদ্য কর্মকর্তারা তার নিয়ন্ত্রণে থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
কয়েক জন ডিলার জানান, প্রতি টন চাল আটা তুলতে খাদ্য অফিসে এক হাজার টাকা করে ঘুষ নিতে হয়। এছাড়াও বিক্রয় কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকেন তাদেরসহ উপজেলা ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কালোবাজারে চাল আটা বিক্রি চলছে। যে কারনে নিউজ প্রকাশ হলেও জেলা ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করে।
শহরের আদালত পাড়ার ডিলার মাসুদ আল পলাশ বলেন, কালো বাজারে চাল আটা বিক্রি করলেও আমরা একা এই টাকা নেই না। এসব টাকা খাদ্য কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন।
টাঙ্গাইলের বেশির ভাগ ডিলার কালোবাজারে চাল আটা বিক্রি করে থাকেন। সব ম্যানেজ থাকায় কারো কিছুই হয় না।
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, বাজিতপুরের খলিলের বিষয়ে বৃহস্পতিবার খোঁজ নেয়া হবে। এছাড়াও ইতিপূর্বে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।
তবে ব্যবস্থা নেয়ার কোন কাগজপত্র সাংবাদিকদের দেখাতে পারেননি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস