ভিয়েনা ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিনাকুণ্ডুতে হত্যাকাণ্ডের জেরে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • ২৬ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ছবিটি দেখলে মনে হবে গাঁজার যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি এলাকা। কিন্তু না এটি  ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুরের চিত্র। সম্প্রতি এই গ্রামে লুটপাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীরা ফলনশীল কলাবাগান কেটে ফেলেছে, পুকুরের মাছ লুট করেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।
চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর ছড়িয়ে থাকা ইট, কাঠ ও ভাঙা আসবাবপত্রের দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোশারফ নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্তদের বাড়িঘরে এভাবেই ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এই ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক পক্ষের বিরুদ্ধে মোশাররফ হোসেন নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযুক্তদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এই হামলার ঘটনায় প্রায় ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।  তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কসিম মোল্লার ছেলে যুব্বার মণ্ডল, সাঈদ মণ্ডল, সোবহানের ছেলে রমজান ও তার দুই ছেলের মোট ৪১টি গরু, ২টি দোকান, ১টি পুকুর, ৫ বিঘা কলার জমি ও ২ বিঘা ভুট্টার জমি লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়াও, সোবহানের দুই ছেলে ওমর আলী ও নাজমুল, ঠান্ডু, বকুল, আকুলের বাড়ি ও ফসলি জমি লুটপাটের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলেছে, গরু নিয়ে গেছে, দোকান লুট করেছে। এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?”
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

হরিনাকুণ্ডুতে হত্যাকাণ্ডের জেরে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট

আপডেটের সময় ১১:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ছবিটি দেখলে মনে হবে গাঁজার যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি এলাকা। কিন্তু না এটি  ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুরের চিত্র। সম্প্রতি এই গ্রামে লুটপাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হামলাকারীরা ফলনশীল কলাবাগান কেটে ফেলেছে, পুকুরের মাছ লুট করেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।
চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর ছড়িয়ে থাকা ইট, কাঠ ও ভাঙা আসবাবপত্রের দৃশ্য দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোশারফ নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার পর অভিযুক্তদের বাড়িঘরে এভাবেই ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এই ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক পক্ষের বিরুদ্ধে মোশাররফ হোসেন নামে এক আইনজীবীর সহকারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযুক্তদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এই হামলার ঘটনায় প্রায় ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।  তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কসিম মোল্লার ছেলে যুব্বার মণ্ডল, সাঈদ মণ্ডল, সোবহানের ছেলে রমজান ও তার দুই ছেলের মোট ৪১টি গরু, ২টি দোকান, ১টি পুকুর, ৫ বিঘা কলার জমি ও ২ বিঘা ভুট্টার জমি লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়াও, সোবহানের দুই ছেলে ওমর আলী ও নাজমুল, ঠান্ডু, বকুল, আকুলের বাড়ি ও ফসলি জমি লুটপাটের শিকার হয়েছে।
এ ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলেছে, গরু নিয়ে গেছে, দোকান লুট করেছে। এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?”
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস