ভিয়েনা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

লালমোহনে গুদাম ঘরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৩ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে গুদামে রাখা মালামালসহ গুদাম ঘরটি লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড হাজির হাট তালপাতা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাজী মোস্তাফা মিজি ট্রেডার্স এর মালিক মো. শরিফ মিঝি অভিযোগ করে জানান, গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১২ টার সময় এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সেলিম এর নেতৃত্বে রিয়াজ, মনির, সুমন, ছালাউদ্দিন, রাসেল, শরিফ, হারুন, আনছার, আলাউদ্দিন, হাসান, মাছুমা, কহিনুর, জুলফা, আকলিমা, কবিরসহ এলাকার ও বহিরাগত প্রায় অর্ধশত বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গুদাম লুট করে এবং গুদামঘরটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। গুদামে মালামালের মধ্যে ছিলো রড ১৫ টন, সিমেন্ট ৯শ বস্তা, হার্ডওয়ার ও সেনেটারীর বিভিন্ন মালামাল।
লুটপাটের ঘটনা শুনে বাজারে আসি। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারার জন্য এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করছিল। পরে আমি তাৎক্ষনিক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে রাত ২টার দিকে লালমোহন থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি পরিদর্শন করে চলে যায়। তবে পুলিশ আসার আগেই সেলিম গংদের তান্ডব শেষ হয় এবং তারা স্থান ত্যাগ করে।  
পরে আমি শনিবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানার ওসি স্টেশনে না থাকায় থানায় মামলা নেয়নি। তবে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ন্যায় বিচার দাবি করছি।
শরিফ মিঝির  পিতা মো. মোস্তফা জানান, আর এস ৫০৬, এসএ ১০০১ খনিয়ানের জমি থেকে ৯৩ শতাংশ জমি ৫টি দলিলে ক্রয় করে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর্য়ন্ত ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের পরে তারা একই খতিয়ানের জমি ক্রয় করে দাতার অন্য জায়গা রেখে আমাদের জমি বাজারের ভিটা জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হঠাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা আমাদের দোকানের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এসব জোর জুলুমের উপযুক্ত বিচার চাই।
দোকান, গুদামঘর ও মালামাল লুটের বিষয়ে জানতে সেলিমের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়ানি। তবে তার স্ত্রী মাছুমা বেগম বলেন, আমরা তাদের দোকানঘর সরিয়ে নেয়নি। তারা নিজেদের ঘর নিজেরা রাতে সরিয়ে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি স্টেশনে না থাকায় বিষয়টি জানা নেই, তবে ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস

জনপ্রিয়

৩৩ বছর ধরে বন্ধ লালমোহন পাবলিক লাইব্রেরি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

লালমোহনে গুদাম ঘরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ

আপডেটের সময় ০৩:০৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে গুদামে রাখা মালামালসহ গুদাম ঘরটি লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড হাজির হাট তালপাতা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাজী মোস্তাফা মিজি ট্রেডার্স এর মালিক মো. শরিফ মিঝি অভিযোগ করে জানান, গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১২ টার সময় এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সেলিম এর নেতৃত্বে রিয়াজ, মনির, সুমন, ছালাউদ্দিন, রাসেল, শরিফ, হারুন, আনছার, আলাউদ্দিন, হাসান, মাছুমা, কহিনুর, জুলফা, আকলিমা, কবিরসহ এলাকার ও বহিরাগত প্রায় অর্ধশত বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের গুদাম লুট করে এবং গুদামঘরটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়। গুদামে মালামালের মধ্যে ছিলো রড ১৫ টন, সিমেন্ট ৯শ বস্তা, হার্ডওয়ার ও সেনেটারীর বিভিন্ন মালামাল।
লুটপাটের ঘটনা শুনে বাজারে আসি। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারার জন্য এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করছিল। পরে আমি তাৎক্ষনিক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করলে রাত ২টার দিকে লালমোহন থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি পরিদর্শন করে চলে যায়। তবে পুলিশ আসার আগেই সেলিম গংদের তান্ডব শেষ হয় এবং তারা স্থান ত্যাগ করে।  
পরে আমি শনিবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানার ওসি স্টেশনে না থাকায় থানায় মামলা নেয়নি। তবে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং ন্যায় বিচার দাবি করছি।
শরিফ মিঝির  পিতা মো. মোস্তফা জানান, আর এস ৫০৬, এসএ ১০০১ খনিয়ানের জমি থেকে ৯৩ শতাংশ জমি ৫টি দলিলে ক্রয় করে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছর পর্য়ন্ত ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের পরে তারা একই খতিয়ানের জমি ক্রয় করে দাতার অন্য জায়গা রেখে আমাদের জমি বাজারের ভিটা জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হঠাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা আমাদের দোকানের গুদাম ঘরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমরা এসব জোর জুলুমের উপযুক্ত বিচার চাই।
দোকান, গুদামঘর ও মালামাল লুটের বিষয়ে জানতে সেলিমের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়ানি। তবে তার স্ত্রী মাছুমা বেগম বলেন, আমরা তাদের দোকানঘর সরিয়ে নেয়নি। তারা নিজেদের ঘর নিজেরা রাতে সরিয়ে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি স্টেশনে না থাকায় বিষয়টি জানা নেই, তবে ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/ইবিটাইমস/এসএস