ভিয়েনা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুরু কাত্যায়নী পূজা:নেই সরকারি বরাদ্দ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০২:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • ৮ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দ্বাপর যুগে যমুনা নদীর তীরে দেবী দুর্গার মাধ্যমে কৃষ্ণ আরাধনা করতো যমুনা পাড়ের মানুষ। সেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে কাত্যায়নী দেবীর মূর্তি স্থাপন করে প্রতিবছর পাঁচদিন ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের ম বিজয়া দশমী পূজা ও মাতৃ প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে কাত্যায়নী পূজা সম্পন্ন  হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার ঠিক এক মাস পরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাতায়নী দেবী দূর্গার আরেক নাম। ধর্মীয় মতে কাত্যায়নী দেবী দুর্গার  ৬ষ্ঠ রূপ। দুর্গা পূজার মতোই সবকিছু অনুষ্ঠিত হয় কাত্যায়নী পূজায়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এবছর ২২ টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজার মতো সার্বজনীন উৎসব না হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ কাত্যায়নী পূজা করে থাকে। খুব জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও শৈলকুপা পৌরসভার ঋষি পাড়ায় বেশ বড় গেইট,প্যান্ডেল,আলোকসজ্জার কমতি নেই। কাত্যায়নী পূজা ঘিরে ঋষিপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পৌরসভার অনন্তবাদালশো গ্রামেও একটি মন্দিরে হচ্ছে কাত্যায়নী পূজা। এমনি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুই পাশে  গাড়াগঞ্জের চন্ডিপুর ও ব্রাহিমপুরের ঋষিপাড়ায় দুটি বড় গেইট ও প্যান্ডেল করে মহা ধুমধামে পালিত হচ্ছে কাত্যায়নী পূজা।  এবছর উপজেলার  ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে সর্বাধিক ৮ টি,  মনোহরপুর ইউনিয়নে ১ টি, বগুড়া ইউনিয়নে ৩ টি, উমেদপুর ইউনিয়নে ২ টি, দুধসর ইউনিয়নে ৩ টি, ফুলহরি ইউনিয়নে ২ টি ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ১ টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসবের মতোই কাত্যায়নী পূজায় সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সরকারী অনুদান বরাদ্দ নেই।

এ ব্যাপারে  শৈলকুপা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক উৎপল কান্তি রায় বলেন,দূর্গাপূজায় প্রত্যেক মন্দিরে সরকারীভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাত্যায়নী পূজায় কোনো অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি গীরিন চন্দ্র দাস জানান,সাবেক জেলা প্রশাসক রমা রানী রায়ের সময় কাত্যায়নী পূজাতেও সরকারী অনুদান দেওয়া হতো। বর্তমানে কোনো অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান,’কাত্যায়নী পূজায় সরকারী কোনো অনুদান বরাদ্দ নেই। তবে পূজা উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

শুরু কাত্যায়নী পূজা:নেই সরকারি বরাদ্দ

আপডেটের সময় ০২:৩০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দ্বাপর যুগে যমুনা নদীর তীরে দেবী দুর্গার মাধ্যমে কৃষ্ণ আরাধনা করতো যমুনা পাড়ের মানুষ। সেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করে কাত্যায়নী দেবীর মূর্তি স্থাপন করে প্রতিবছর পাঁচদিন ধরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের ম বিজয়া দশমী পূজা ও মাতৃ প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে কাত্যায়নী পূজা সম্পন্ন  হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার ঠিক এক মাস পরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাতায়নী দেবী দূর্গার আরেক নাম। ধর্মীয় মতে কাত্যায়নী দেবী দুর্গার  ৬ষ্ঠ রূপ। দুর্গা পূজার মতোই সবকিছু অনুষ্ঠিত হয় কাত্যায়নী পূজায়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এবছর ২২ টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজার মতো সার্বজনীন উৎসব না হলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ কাত্যায়নী পূজা করে থাকে। খুব জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও শৈলকুপা পৌরসভার ঋষি পাড়ায় বেশ বড় গেইট,প্যান্ডেল,আলোকসজ্জার কমতি নেই। কাত্যায়নী পূজা ঘিরে ঋষিপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পৌরসভার অনন্তবাদালশো গ্রামেও একটি মন্দিরে হচ্ছে কাত্যায়নী পূজা। এমনি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুই পাশে  গাড়াগঞ্জের চন্ডিপুর ও ব্রাহিমপুরের ঋষিপাড়ায় দুটি বড় গেইট ও প্যান্ডেল করে মহা ধুমধামে পালিত হচ্ছে কাত্যায়নী পূজা।  এবছর উপজেলার  ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নে সর্বাধিক ৮ টি,  মনোহরপুর ইউনিয়নে ১ টি, বগুড়া ইউনিয়নে ৩ টি, উমেদপুর ইউনিয়নে ২ টি, দুধসর ইউনিয়নে ৩ টি, ফুলহরি ইউনিয়নে ২ টি ও মির্জাপুর ইউনিয়নের ১ টি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসবের মতোই কাত্যায়নী পূজায় সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সরকারী অনুদান বরাদ্দ নেই।

এ ব্যাপারে  শৈলকুপা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক উৎপল কান্তি রায় বলেন,দূর্গাপূজায় প্রত্যেক মন্দিরে সরকারীভাবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাত্যায়নী পূজায় কোনো অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি গীরিন চন্দ্র দাস জানান,সাবেক জেলা প্রশাসক রমা রানী রায়ের সময় কাত্যায়নী পূজাতেও সরকারী অনুদান দেওয়া হতো। বর্তমানে কোনো অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস জানান,’কাত্যায়নী পূজায় সরকারী কোনো অনুদান বরাদ্দ নেই। তবে পূজা উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস