ভিয়েনা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, এক যাত্রীর মৃত্যু টাঙ্গাইলে হাসপাতাল থেকে ১৩ দালাল আটক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বােধন রাহেলা জাকির টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ফরেনসিক দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ইতালি

মারধর করে কৃষকের গোয়াল ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৫ সময় দেখুন

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মো. তাজল ইসলাম নামে এক কৃষককে মারধর ও গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কৃষক তাজল ইসলাম জানান, চরকোড়ালমারা মৌজার জেএল-৬১, এসএ ৪১ নম্বর খতিয়ানে ক্রয়সূত্রে ৯১ শতাংশ জমির মালিক লালমোহনের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন। আমি তার জমিগুলো বর্গাচাষ করি। এ নিয়ে লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকার মৃত মজিবল হকের ছেলে মো. কাঞ্চন (৬০) গংরা  বিরোধ শুরু করে। তারই জের ধরে গত ৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে জমি চাষ করতে গেলে মো. কাঞ্চন, তার ভাই মো. মফিজ, মো. ছলেমান এবং তার ছেলে মো. মনির বাঁধা দেয়।

তিনি জানান, এ সময় জমি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তাদেরকে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় আমি তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নং-৩০৫, তারিখ-৯ সেপ্টেম্বর-২৪।

কৃষক তাজল ইসলাম আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে আসি। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা আবারো এসে আমার বর্গা জমিতে তৈরি করা গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. কাঞ্চনের ভাই মো. মফিজ বলেন, আমাদের জমিতে গোয়াল ঘর করেছিল কৃষক তাজল ইসলাম। তাকে সেটা সরাতে বললেও সে সরায়নি। তাই সেই ঘর নিয়ে এসেছি। এ বিরোধের জেরে তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।

এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, ভুক্তভোগী কৃষক আগে কোনো জিডি করেছেন কিনা তা দেখতে হবে। তবে মঙ্গলবার গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

মারধর করে কৃষকের গোয়াল ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেটের সময় ০১:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মো. তাজল ইসলাম নামে এক কৃষককে মারধর ও গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কৃষক তাজল ইসলাম জানান, চরকোড়ালমারা মৌজার জেএল-৬১, এসএ ৪১ নম্বর খতিয়ানে ক্রয়সূত্রে ৯১ শতাংশ জমির মালিক লালমোহনের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন। আমি তার জমিগুলো বর্গাচাষ করি। এ নিয়ে লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকার মৃত মজিবল হকের ছেলে মো. কাঞ্চন (৬০) গংরা  বিরোধ শুরু করে। তারই জের ধরে গত ৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে জমি চাষ করতে গেলে মো. কাঞ্চন, তার ভাই মো. মফিজ, মো. ছলেমান এবং তার ছেলে মো. মনির বাঁধা দেয়।

তিনি জানান, এ সময় জমি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তাদেরকে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় আমি তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নং-৩০৫, তারিখ-৯ সেপ্টেম্বর-২৪।

কৃষক তাজল ইসলাম আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে আসি। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা আবারো এসে আমার বর্গা জমিতে তৈরি করা গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. কাঞ্চনের ভাই মো. মফিজ বলেন, আমাদের জমিতে গোয়াল ঘর করেছিল কৃষক তাজল ইসলাম। তাকে সেটা সরাতে বললেও সে সরায়নি। তাই সেই ঘর নিয়ে এসেছি। এ বিরোধের জেরে তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।

এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, ভুক্তভোগী কৃষক আগে কোনো জিডি করেছেন কিনা তা দেখতে হবে। তবে মঙ্গলবার গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহিদুল ইসলাম দুলাল/ইবিটাইমস