ভিয়েনা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান চুরির চেষ্টার অভিযোগ কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, এক যাত্রীর মৃত্যু টাঙ্গাইলে হাসপাতাল থেকে ১৩ দালাল আটক মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল শহর পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বােধন রাহেলা জাকির টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সভাপতি নির্বাচিত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস বিরোধী জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া দিল্লিতে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্ত করছে ফরেনসিক দল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ইতালি

কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ, ব্রিজের বরাদ্ধে কালর্ভাট নির্মান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ না করেই কাগজে কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রকল্পের প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করা, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা সহ নানা অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ।

উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায়,প্রতি অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। বরাদ্ধকৃত প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে। ৩০ শে জুনের মধ্যে এসকল প্রকল্প গুলো শেষ হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, স্কুলে বে প্রদান ও স্কুলের উন্নয়ন, সেলাই মেশিন ও নলকূপ বিতরণ, কালভার্ট নির্মান, ড্রেন নির্মান,শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া এবং রাস্তা ফ্লাট সলিং করণ।

তথ্য প্রযুক্তি আইনে আবেদন করে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়,একই প্রকল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন অর্থ বছরে দেওয়া হয়েছে। কোনটির নামে মাত্র কাজ হয়েছে আবার কোনটির অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায়নি। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির উন্নয়ন তহবিলে উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের নাটিমা গ্রাম হতে রুপদাহ অভিমুখে রুপাদহ মাঠে মগরেব আলীর জমির পাশের রাস্তায় ১টি ব্রিজ নির্মান প্রকল্পে ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তালিকায়ও নাটিমা ইউনিয়নের নাটিমা গ্রাম হতে রুপদাহ অভিমুখে রুপাদহ মাঠে মগরেব আলীর জমির পাশের রাস্তায় ১টি ব্রিজ নির্মান প্রকল্পে ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু একই প্রকলল্প দুই অর্থ বছরে দিয়েও ব্রিজ নির্মান না করে নানা অনিয়মে একটি কালভার্ট নির্মান করে প্রকল্পের ৪ লাখ টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২১-২০২২ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আদমপুর মল্লিকপাড়া তরিকুলের বাড়ী হতে বক্তারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা ফ্লাট সলিং প্রকল্পে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হলেও তার কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের ১ লাখ টাকা দিয়ে রাস্তাটি ফ্লাট সলিং করে দিয়েছি। তা ছাড়া কোন অর্থ বছরে এ রাস্তায় কোন কাজ হয়নি।

সরেজমিনে প্রকল্প স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধে ব্রিজ নির্মানের পরিবর্তে নির্মান করা হয়েছে কালভার্ট বা ইউ ড্রেন। কথা হয় পাশের জমির মালিক মজেহার ও আলমগীরের সাথে। তারা বলেন,‘চার-পাঁচ মাস আগে এই কলর্ভাটটি নির্মান হয়েছে। নিন্মমানের ইট,বালু-খোঁয়া আর কোন রকম গাথুনির ওপর ¯øাব বসিয়ে দিয়ে কালভার্টটি তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা বলেন যেভাবে করার কথা আমরা সেভাবে করেছি,আমাদের কথার কোন পাত্তা দিতো না।

তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান কাশেম মাষ্টারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন যে ভাবে করার নিয়ম তারা তো সে ভাবেই করবে, আপনারা শুধু দেখেন কাজটি হচ্ছে কিনা।’

উজ্জল ও ইন্তাদুল বলেন,‘মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য ৪-৫ মাস আগে ব্রিজের পরিবর্তে ৫০-৬০ হাজার টাকার কালভার্ট পেয়েছি,এটা দিয়ে মাঠের পানি বের হবে কিভাবে? পানির চাপ তো কালভার্ট নিতে পারবে না,এক বর্ষা পার হলেই নিচের মাটি সরে গিয়ে কালভার্ট ভেঙ্গে পরবে। সিমেন্টের পরিমান কম দেওয়ায় গরুর গাড়ির চাকা উঠলেই এখনিই উঠে যাচ্ছে ঢালাইয়ের খোঁয়া।’

উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহারিয়ার আকাশ জানান,‘গত দুই তিন বছর আগের প্রকল্প, টাকাও ছাড় হয়ে গেছে অনিয়ম হলেও এখন কিছু করার নাই।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ বলেন,‘আমরা শুধু প্রকল্প অনুমোদন করে দেই,বাকি সব কাজ করে ইঞ্জিনিয়ার অফিস। কোন প্রকল্প অনিয়ম হলে কেউ অভিযোগ দিলে সেটা আমরা তদন্ত্র করে ব্যবস্থা নেবো।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

১৯৭০ সালের ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় গোর্কি

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ, ব্রিজের বরাদ্ধে কালর্ভাট নির্মান

আপডেটের সময় ১০:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ না করেই কাগজে কলমে শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রকল্পের প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ না করা, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা সহ নানা অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ।

উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায়,প্রতি অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয় সরকার। বরাদ্ধকৃত প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে। ৩০ শে জুনের মধ্যে এসকল প্রকল্প গুলো শেষ হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, স্কুলে বে প্রদান ও স্কুলের উন্নয়ন, সেলাই মেশিন ও নলকূপ বিতরণ, কালভার্ট নির্মান, ড্রেন নির্মান,শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া এবং রাস্তা ফ্লাট সলিং করণ।

তথ্য প্রযুক্তি আইনে আবেদন করে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়,একই প্রকল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন অর্থ বছরে দেওয়া হয়েছে। কোনটির নামে মাত্র কাজ হয়েছে আবার কোনটির অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায়নি। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির উন্নয়ন তহবিলে উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের নাটিমা গ্রাম হতে রুপদাহ অভিমুখে রুপাদহ মাঠে মগরেব আলীর জমির পাশের রাস্তায় ১টি ব্রিজ নির্মান প্রকল্পে ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তালিকায়ও নাটিমা ইউনিয়নের নাটিমা গ্রাম হতে রুপদাহ অভিমুখে রুপাদহ মাঠে মগরেব আলীর জমির পাশের রাস্তায় ১টি ব্রিজ নির্মান প্রকল্পে ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু একই প্রকলল্প দুই অর্থ বছরে দিয়েও ব্রিজ নির্মান না করে নানা অনিয়মে একটি কালভার্ট নির্মান করে প্রকল্পের ৪ লাখ টাকা আতœসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২১-২০২২ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আদমপুর মল্লিকপাড়া তরিকুলের বাড়ী হতে বক্তারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা ফ্লাট সলিং প্রকল্পে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হলেও তার কোন অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন তহবিলের ১ লাখ টাকা দিয়ে রাস্তাটি ফ্লাট সলিং করে দিয়েছি। তা ছাড়া কোন অর্থ বছরে এ রাস্তায় কোন কাজ হয়নি।

সরেজমিনে প্রকল্প স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধে ব্রিজ নির্মানের পরিবর্তে নির্মান করা হয়েছে কালভার্ট বা ইউ ড্রেন। কথা হয় পাশের জমির মালিক মজেহার ও আলমগীরের সাথে। তারা বলেন,‘চার-পাঁচ মাস আগে এই কলর্ভাটটি নির্মান হয়েছে। নিন্মমানের ইট,বালু-খোঁয়া আর কোন রকম গাথুনির ওপর ¯øাব বসিয়ে দিয়ে কালভার্টটি তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা বলেন যেভাবে করার কথা আমরা সেভাবে করেছি,আমাদের কথার কোন পাত্তা দিতো না।

তারা আরও বলেন, চেয়ারম্যান কাশেম মাষ্টারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি বলেন যে ভাবে করার নিয়ম তারা তো সে ভাবেই করবে, আপনারা শুধু দেখেন কাজটি হচ্ছে কিনা।’

উজ্জল ও ইন্তাদুল বলেন,‘মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য ৪-৫ মাস আগে ব্রিজের পরিবর্তে ৫০-৬০ হাজার টাকার কালভার্ট পেয়েছি,এটা দিয়ে মাঠের পানি বের হবে কিভাবে? পানির চাপ তো কালভার্ট নিতে পারবে না,এক বর্ষা পার হলেই নিচের মাটি সরে গিয়ে কালভার্ট ভেঙ্গে পরবে। সিমেন্টের পরিমান কম দেওয়ায় গরুর গাড়ির চাকা উঠলেই এখনিই উঠে যাচ্ছে ঢালাইয়ের খোঁয়া।’

উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহারিয়ার আকাশ জানান,‘গত দুই তিন বছর আগের প্রকল্প, টাকাও ছাড় হয়ে গেছে অনিয়ম হলেও এখন কিছু করার নাই।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ বলেন,‘আমরা শুধু প্রকল্প অনুমোদন করে দেই,বাকি সব কাজ করে ইঞ্জিনিয়ার অফিস। কোন প্রকল্প অনিয়ম হলে কেউ অভিযোগ দিলে সেটা আমরা তদন্ত্র করে ব্যবস্থা নেবো।’

শেখ ইমন/ইবিটাইমস