নাজিরপুরে সরকারী ভবন ও কোটি টাকার জমি প্রভাবশালীর দখলে

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে খাদ্য গোডাউনের সরকারী ভবন ও কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাশালী নারায়ন মিস্ত্রী ও তার পরিবার। উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরের খাদ্য গোডাউনের একটি পাকা কক্ষ ও তার পাশর্^বর্তী প্রায় ২৫ শতাংশ জমি গত কয়েক বছর ধরে জোর করে দখল করে আছেন ওই পরিবারটি।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরের দক্ষিন মাথায় থাকা খাদ্য গোডাউনের প্রধান ভবনের পশ্চিম পাশের এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এলএসডি ফুড গোডাউন এর গার্ড রুম, বাথরুম দখল করে আছেন। এ ছাড়া জমি দখল করে তৈরী করছেন টিনের ঘর।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন বেপারী বলেন, অভিযুক্ত নারায়ন মিস্ত্রী গত প্রায় ২০ বছরের বেশী সময় ধরে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে সরকারী ওই জমি দখল করে আছেন।

এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, এলজিইডির প্রতিষ্ঠালগ্নে খাদ্যেও বিনিময় কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন সড়ক, ব্রীজ-কালভার্ট ও গ্রোথ সেন্টার নির্মান ও উন্নয়ন কাজ করা হয়েছিলো। এ জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত গম/চাল সংরক্ষন ও বিতরনের জন্য প্রকল্প চলমান উপজেলা সমূহে এলজিইডি ফুড গোডাউন নির্মান করেন।

আশির দশকের দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরে ওই গোডাউন নির্মান করা হয়। বর্তমানে ওই কর্মসূচীর পরিবর্তে দরপত্র দরপত্র প্রক্রিয়ায় সরকারি অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় গোডাউন পরিত্যাক্ত থাকায় ভবনটি বিএডিসি কর্তৃপক্ষের নিকট লিজ হিসাবে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ সেখানে বীজ ও কৃষি ঔষুধ রাখার গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছেন। তাকে ওই জমি ও স্থাপনার দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার নোটিশ দেয়া হলেও তিনি তা ছাড়ছেন না। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারায়ন চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, তিনি ভূমি অফিসের মাধ্যমে ওই জমি একসনা লিজ হিসাবে ভোগ করছেন। তবে উপজেলা ভূমি অফিসের কাছে ওই জমি লিজ নেয়ার কোন তথ্য নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এইচ এম লাহেল মাহমুদ/ইবিটাইমস 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »