ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে মুরগীর বাজার থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী বিক্রি করার নির্দেশনা প্রদান করায় বাজারের এই মুরগী বিক্রেতারা ধর্মঘট শুরু করেছে। রমজানের মধ্যে বিষয়টি অনাকাঙ্খিত ছিল।
বাজারের দোকান থেকে মুরগী সরিয়ে রেখে সরকারকে বিব্রত করে পূর্বে তারা যেই দামে মুরগী বিক্রি করতো সেটা বহাল রাখার জন্যই এই সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। বাজারগুলিতে কোন ধরণের মুরগী নেই এবং দোকানের খাচা মুরগী শূণ্য। হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া মুরগীর নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী একাধিক সিন্ডিকেট সংগঠন।
সরকার ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় ব্রয়লার, ২৬২ টাকায় সোনালী এবং একই দামে লেয়ার মুরগীর বিক্রি করার জন্য জেলা প্রশাসকের বাজার মনিটরিং টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মুরগীর দোকানগুলিতে এসে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে মুরগীর বিক্রির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে তারা তাদের লোকসান দিয়ে ব্যবসা চালাবে না এই অজুহাত ধরে বাজারে মুরগী বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
স্থানীয় মুরগী বিক্রেতারা দাবী করেছে তারা পাইকারী বিক্রেতাদের কাছ থেকে যে দামে মুরগী ক্রয় করে তার উপরে ১০ থেকে ১৫ টাকা ব্যবসা নিয়ে তারা বিক্রি করে। বর্তমানে পাইকারী বিক্রেতাদের কাছ থেকে এই সকল দোকানীরা ২০০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার ও ২৮৫ টাকা কেজি দরে লেয়ার ও সোনালী মুরগী ক্রয় করে। ঝালকাঠির এই বাজারে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন মুরগী ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে
খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে, মুরগীর খামার যিনি করেছেন সেই খামার মালিক ডিলার ব্যতিত মুরগী বিক্রি করতে পারে না। তাকে এই ডিলাররা সিন্ডিকেট করে বেধে রেখেছে। ডিলারদের কাছ থেকে পাইকারি মুরগী বিক্রেতারা মুরগী কিনে বাজারের মুরগী বিক্রেতাদের দোকানে বিক্রি করে এবং এখানেও পাইকারী মুরগী বিক্রেতাদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। সর্বশেষ মুরগী বিক্রেতাদের কাছে যেই দামে মুরগী বিক্রি করবে তাও এই স্থানীয় বাজার সিন্ডিকেট রেট নির্ধারণ করে দেয়।
খোজ নিয়ে আরও জানা গেছে যে, কোন খামারী যখন ফার্ম করেন তখন ডিলাররা তার পুঁজি সংকটের সূত্র ধরে বাচ্চা মুরগী সরবরাহ করে এবং এই মুরগী বিক্রয়যোগ্য হলে এই ডিলার ব্যতিত সে বিক্রি করতে পারে না।
এইভাবে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের খামার উদ্যোক্তাদের আটকে রেখেছে এই ডিলার সিন্ডিকেট। এইভাবেই ডিলার থেকে পাইকারদের সিন্ডিকেট ও পাইকার থেকে স্থানীয় বাজারের মুরগী বিক্রেতা সিন্ডিকেটের কবলে মুরগী ব্যবসা।
বাধন রায়/ইবিটাইমস