ভিয়েনা ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন নির্বাচনের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান সুদানে শাহাদাত বরণকারী শান্তিরক্ষীদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত

শায়েস্তাগঞ্জের নুরপুরে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘বগুড়ার দই’

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩০ সময় দেখুন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুরে কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই। প্রতিদিন শত শত কেজি দই তৈরি হয় এখানে। এসব দই ‘বগুড়ার দই’ নামে বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জসহ আশপাশের জেলা সমুহে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর কাঠালতলী এলাকায় একটি বাড়িতে নোংরা পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছে। জং যুক্ত টিনের ড্রামে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে দুধ। আশপাশে উড়াউড়ি করছে মাছি। প্রস্ততকৃত দইয়ের উপরেও পরে আছে মাছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২ বছর ধরে সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে দই প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছেন। শায়েস্তাগঞ্জে তৈরি হলেও এসব দই বগুড়ার বলে প্রতারণা করে বিক্রি করেন তার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ১ কেজি ওজনের দইয়ে শুধু বাটির ওজনই থাকে ৫০০-৬০০ গ্রাম। ফলে ঠকছেন ক্রেতারা। বিভিন্নধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ও রঙ ব্যবহার করায় ভোক্তারা পেটের পীড়াসহ নানান সমস্যায় পড়ছেন।

১০-১২ জন লোক দিয়ে এসব দই রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টপেজ ও বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি দই ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি করেন তারা।

এ বিষয়ে দই প্রস্তুতকারক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এর চেয়ে ভালো পরিবেশের বাসা নিতে গেলে ভাড়া বেশি দেওয়া লাগে। আর ‘বগুড়ার দই’ নামে বিক্রি করি কারন বগুড়ার দইয়ের চাহিদা বেশি। এসময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও বিএসটিআইয়ের কোনো ধরনের অনুমোদন নেননি বলে জানান।

একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

শায়েস্তাগঞ্জের নুরপুরে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ‘বগুড়ার দই’

আপডেটের সময় ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুরে কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে দই। প্রতিদিন শত শত কেজি দই তৈরি হয় এখানে। এসব দই ‘বগুড়ার দই’ নামে বিক্রি করা হয় হবিগঞ্জসহ আশপাশের জেলা সমুহে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর কাঠালতলী এলাকায় একটি বাড়িতে নোংরা পরিবেশে দই তৈরি করা হচ্ছে। জং যুক্ত টিনের ড্রামে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে দুধ। আশপাশে উড়াউড়ি করছে মাছি। প্রস্ততকৃত দইয়ের উপরেও পরে আছে মাছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ২ বছর ধরে সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে দই প্রস্তুত ও বাজারজাত করে আসছেন। শায়েস্তাগঞ্জে তৈরি হলেও এসব দই বগুড়ার বলে প্রতারণা করে বিক্রি করেন তার প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ১ কেজি ওজনের দইয়ে শুধু বাটির ওজনই থাকে ৫০০-৬০০ গ্রাম। ফলে ঠকছেন ক্রেতারা। বিভিন্নধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ও রঙ ব্যবহার করায় ভোক্তারা পেটের পীড়াসহ নানান সমস্যায় পড়ছেন।

১০-১২ জন লোক দিয়ে এসব দই রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টপেজ ও বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি দই ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি করেন তারা।

এ বিষয়ে দই প্রস্তুতকারক সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এর চেয়ে ভালো পরিবেশের বাসা নিতে গেলে ভাড়া বেশি দেওয়া লাগে। আর ‘বগুড়ার দই’ নামে বিক্রি করি কারন বগুড়ার দইয়ের চাহিদা বেশি। এসময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও বিএসটিআইয়ের কোনো ধরনের অনুমোদন নেননি বলে জানান।

একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।

মোতাব্বির হোসেন কাজল/ইবিটাইমস