ভিয়েনা ১২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ সরকারের ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে: মির্জা ফখরুল নির্বাচন আয়োজনে গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অবকাশ নেই : সিইসি অস্ট্রিয়ায় মুসলিমদের সাথে সহাবস্থান কঠিন, ÖVP দলের ইনস্টাগ্রামের পোস্ট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ শরীক দলের রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী টাঙ্গাইলে প্রিণ্ট মিডিয়া আসোসিয়েশন নিন্দা ও প্রতিবাদ সিইসির সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক আগামী নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার এডাব ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি শাহ্ আলম, সম্পাদক হোসাইন আহমেদ ‎ ঝালকাঠির দুটি আসনে ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

পশ্চিম আফ্রিকান দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৬:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • ২৪ সময় দেখুন

অভ্যুত্থানের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাইজারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রও সাহায্য বন্ধের হুমকি 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সংবাদ সংস্থা ভয়েস অফ আমেরিকার (VOA) খবরে বলা হয়েছে এই সপ্তাহে দেশটির সামরিক নেতারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রও ইইউর মত একইভাবে সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ নাইজার (Niger) বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশটি সরকারী উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে, বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে পেয়ে থাকে।

নাইজার ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার, যারা দেশটিকে পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

পূর্বে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলেও, নাইজারকে সবচেয়ে স্থিতিশীল একটি দেশ হিসাবে দেখা হতো। নাইজার হল বিশ্বের সপ্তম-বৃহৎ ইউরেনিয়াম উৎপাদনশালী দেশ। নাইজারের বিদেশী মিত্ররা এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান, জেনারেল আব্দুরহামানে তচিয়ানির নেতৃত্বাধীন নতুন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তাকে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হয়।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভিতরে থাকাকালীন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাজুমের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলো এখনও তাকেই বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, নাইজারের “বাজেট সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সকল সহযোগিতা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।”

নাইজারে প্রায় ১,১০০ সৈন্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং তারা নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য দেশটিকে লক্ষ লক্ষ ডলার প্রদান করে।

তাছাড়াও নাইজার হল সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবাহ রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের জন্য নাইজারে ইইউরও অল্প সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

ইইউ-এর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে নাইজারে সুশাসন, শিক্ষা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির উন্নতির জন্য তাদের বাজেট থেকে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, নাইজারের অভ্যুত্থান তাদের মানবিক সহায়তা বিতরণে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

নাইজারে সামরিক জান্তার প্রতি ঠিক কতটা জনসমর্থন রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বুধবার বাজুমের সমর্থনে কিছু জনতা বেরিয়েছিল, কিন্তু পরের দিনই আবার অভ্যুত্থানের সমর্থকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলির অর্থনৈতিক সম্প্রদায়, বা ইকোওয়াস, নাইজারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য রবিবার (৩০ জুলাই) নাইজেরিয়ায় একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন করবে।

শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকের পর, আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে তারা সেনাবাহিনীকে তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবার এবং ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। তবে তারপর ঠিক কি হবে, তা বলা হয়নি।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়

অনাবাদি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদনের জন্য বিনামূল্যে উপকরণ বিতরণ

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

পশ্চিম আফ্রিকান দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান

আপডেটের সময় ০৬:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

অভ্যুত্থানের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাইজারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রও সাহায্য বন্ধের হুমকি 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সংবাদ সংস্থা ভয়েস অফ আমেরিকার (VOA) খবরে বলা হয়েছে এই সপ্তাহে দেশটির সামরিক নেতারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রও ইইউর মত একইভাবে সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ নাইজার (Niger) বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশটি সরকারী উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে, বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে পেয়ে থাকে।

নাইজার ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার, যারা দেশটিকে পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

পূর্বে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলেও, নাইজারকে সবচেয়ে স্থিতিশীল একটি দেশ হিসাবে দেখা হতো। নাইজার হল বিশ্বের সপ্তম-বৃহৎ ইউরেনিয়াম উৎপাদনশালী দেশ। নাইজারের বিদেশী মিত্ররা এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান, জেনারেল আব্দুরহামানে তচিয়ানির নেতৃত্বাধীন নতুন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তাকে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হয়।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভিতরে থাকাকালীন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাজুমের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলো এখনও তাকেই বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, নাইজারের “বাজেট সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সকল সহযোগিতা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।”

নাইজারে প্রায় ১,১০০ সৈন্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং তারা নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য দেশটিকে লক্ষ লক্ষ ডলার প্রদান করে।

তাছাড়াও নাইজার হল সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবাহ রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের জন্য নাইজারে ইইউরও অল্প সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

ইইউ-এর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে নাইজারে সুশাসন, শিক্ষা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির উন্নতির জন্য তাদের বাজেট থেকে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, নাইজারের অভ্যুত্থান তাদের মানবিক সহায়তা বিতরণে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

নাইজারে সামরিক জান্তার প্রতি ঠিক কতটা জনসমর্থন রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বুধবার বাজুমের সমর্থনে কিছু জনতা বেরিয়েছিল, কিন্তু পরের দিনই আবার অভ্যুত্থানের সমর্থকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে। পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলির অর্থনৈতিক সম্প্রদায়, বা ইকোওয়াস, নাইজারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য রবিবার (৩০ জুলাই) নাইজেরিয়ায় একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন করবে।

শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকের পর, আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে তারা সেনাবাহিনীকে তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবার এবং ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। তবে তারপর ঠিক কি হবে, তা বলা হয়নি।

কবির আহমেদ/ইবিটাইমস