ভিয়েনা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জলমহাল ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৭:২৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • ৩১ সময় দেখুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমীর বিরুদ্ধে আইন বর্হিভুতভাবে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে জলমহলা ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর নীতিমালা উপেক্ষা করে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া পুকুরের ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সদর উপজেলা পরিষদ। ইজারার নিয়ম অনুযায়ী ৩ জন এতে অংশ নেয়। গত ১৪ ফেব্রæয়ারি টেন্ডার উন্মক্ত করা হয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টেন্ডার পায় আড়মুখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। তবে আড়মুখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান (যার নং-৮৫/২১) রয়েছে।

সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে কোন মৎস্যজীবি সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা থাকলে ওই সংগঠন বা সমিতিকে জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদাণ করা যাবে না। মামলা চলমান থাকার পরও ওই সমিতিকে জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। ইজারা উন্মুক্ত করার পুর্বে ওই সমিতির বিরুদ্ধে মামলার নথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আকারে জমা দিলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি।

আরাপপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে ইজারা দিয়েছে। ইজারা দেওয়ার পুর্বে আমি লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ওই সংগঠনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে ওই দুই কর্মকর্তা কোন সুবিধা নিয়েছে কি না তা এখন প্রশ্ন রয়ে গেছে।

মাসুদুর রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কিভাবে প্রত্যায়ন দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার বড় বাবু ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর হোসেন এর সাথে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা একাজ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বলেন, আমাদের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো তা আমরা দেখেছি। মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করার পরই ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

শেখ ইমন/ইবিটাইমস 

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

ঝিনাইদহে দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জলমহাল ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

আপডেটের সময় ০৭:২৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমীর বিরুদ্ধে আইন বর্হিভুতভাবে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে জলমহলা ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর নীতিমালা উপেক্ষা করে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া পুকুরের ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সদর উপজেলা পরিষদ। ইজারার নিয়ম অনুযায়ী ৩ জন এতে অংশ নেয়। গত ১৪ ফেব্রæয়ারি টেন্ডার উন্মক্ত করা হয়। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টেন্ডার পায় আড়মুখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। তবে আড়মুখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ঝিনাইদহ সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান (যার নং-৮৫/২১) রয়েছে।

সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে কোন মৎস্যজীবি সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা থাকলে ওই সংগঠন বা সমিতিকে জলমহাল বন্দোবস্ত প্রদাণ করা যাবে না। মামলা চলমান থাকার পরও ওই সমিতিকে জলমহাল ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। ইজারা উন্মুক্ত করার পুর্বে ওই সমিতির বিরুদ্ধে মামলার নথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ আকারে জমা দিলেও তিনি কর্ণপাত করেন নি।

আরাপপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মাসুদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সম্পুর্ণ অন্যায়ভাবে ইজারা দিয়েছে। ইজারা দেওয়ার পুর্বে আমি লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে ওই সংগঠনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে ওই দুই কর্মকর্তা কোন সুবিধা নিয়েছে কি না তা এখন প্রশ্ন রয়ে গেছে।

মাসুদুর রহমান আরও অভিযোগ করে বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কিভাবে প্রত্যায়ন দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার বড় বাবু ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর হোসেন এর সাথে জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা একাজ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বলেন, আমাদের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো তা আমরা দেখেছি। মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করার পরই ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

শেখ ইমন/ইবিটাইমস