ভিয়েনা ০৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট (বাবেশিকফো) লালমোহন উপজেলা শাখার কমিটি গঠন দেশের দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার লাগাম একমাত্র বিএনপিই টেনে ধরতে পারবে- তারেক রহমান জার্মানির পররাস্ট্রমন্ত্রী ওয়াদেফুল ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতিতে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বেইজিংকে আহ্বান ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ২ প্রাণ চুনারুঘাটে স্বামীর ছুরির আঘাতে স্ত্রী নিহত টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান কালিহাতীতে দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত জমি-জমার বিরোধ নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ‎ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তেলআবিব নির্বাচনের তফসিল, গণভোট ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ইসির বৈঠক আজ

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২৩ সময় দেখুন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাবুলকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়।  হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যরা হলেন- কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতাশেমুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।

মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে। পিবিআই কখনো পেশাদারিত্বের বাইরে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকান্ড কেন সংঘটিত হয়েছে তা অনেকবার বলেছি। বাকিটা আদালতে বিচারের সময় পাওয়া যাবে। সব রকমের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আড়াই বছর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি কারা কারা জড়িত। বাবুল আক্তার কীভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত তার তথ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে।

পিবিআইয়ের দাবি, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য সোর্সের মাধ্যমে তিনি তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। পিবিআই-এর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এক বিদেশি নারীর সঙ্গে বাবুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের একটি সন্তান হয়। সে কারণেই বাবুল মিতুকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

কামরুল ইসলাম শিকদার মুসাসহ ছয়জন হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল বলেও পিবিআই প্রতিবেদনে উন্মোচন করা হয়েছে। হত্যার পর বাবুল মুসাকে আত্মগোপনে যেতে বলে উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলাটি আদেশের অপেক্ষায় আছে।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ

জনপ্রিয়

জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট (বাবেশিকফো) লালমোহন উপজেলা শাখার কমিটি গঠন

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেটের সময় ০৪:১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাবুলকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়।  হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্যরা হলেন- কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতাশেমুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।

মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় প্রতিবেদন জমা দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে। পিবিআই কখনো পেশাদারিত্বের বাইরে যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হত্যাকান্ড কেন সংঘটিত হয়েছে তা অনেকবার বলেছি। বাকিটা আদালতে বিচারের সময় পাওয়া যাবে। সব রকমের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আড়াই বছর তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি কারা কারা জড়িত। বাবুল আক্তার কীভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত তার তথ্য প্রমাণও পাওয়া গেছে।

পিবিআইয়ের দাবি, বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য সোর্সের মাধ্যমে তিনি তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। পিবিআই-এর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এক বিদেশি নারীর সঙ্গে বাবুলের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের একটি সন্তান হয়। সে কারণেই বাবুল মিতুকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

কামরুল ইসলাম শিকদার মুসাসহ ছয়জন হত্যাকান্ডে অংশ নিয়েছিল বলেও পিবিআই প্রতিবেদনে উন্মোচন করা হয়েছে। হত্যার পর বাবুল মুসাকে আত্মগোপনে যেতে বলে উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, পিবিআইয়ের হেফাজতে থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলার আবেদন করেছেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলাটি আদেশের অপেক্ষায় আছে।

ডেস্ক/ইবিটাইমস/এমএইচ