ভিয়েনা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগরে মিলছে ইলিশ, নদীতে সংকট

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ১০:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • ২৩ সময় দেখুন

তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে জেলেরা

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার মেঘনা নদীতে ইলিশের অকাল থাকলেও সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎগুলোও। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মেঘনায়। সারাদিন জাল বেয়ে কাঙ্খিত পরিমান মাছের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা।  অন্যদিকে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আরো বেশি বিপাকে তারা।

জেলেরা জানান, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো। অন্যদিকে ৬৫ দিনের জন্যও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। নদী ও সাগরে প্রায় সাড়ে ৪ মাছের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘুরে দাড়াতেই নদী ও সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে সাগরে প্রচুর পরিমানে ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা কিন্তু নদীতে গিয়ে অনেক জেলেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়াতে অনেকটাই বিপাকে পড়ছেন উপকূলের জেলেরা।

জেলে শহিজল ও মনির বলেন, এ বছর  ভরা মৌসুমেও মেঘনায়   ইলিশেরর দেখা মিলেনি। তবুও আমরা অপেক্ষায় ছিলাম নদীতে মাছ ধরা পড়তে কিন্তু এখনও মিলছে না ইলিশ।

ভোলার ইলিশা, তুলাতলী, জোড়খাল, নাছির মাঝি, লালসোহনের বাত্তির খাল সহ বেশ কয়েকটি আড়ৎ ঘুরে জানা গেল, আড়ৎ যেসব মাছ কেনা-বেচা হচাছে তা সবই সাগরের মাছ, তবে তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।

আড়ৎদার মাসুদ রানা বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লেও সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে। এ অবস্থা চললে জেলেরা কিছুটা হলেও সংকট দুর করতে পারবেন।

লালমোহন উপজেলার বাত্তিরখাল মৎস্য ঘাটের  এলাকার জেলে শহিজল হক বলেন, নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে কিছু ইলিশ থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সাগরে গিয়ে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে প্রতিবার ফিরে দেখা যায় লাভের চাইতে লোসকানের পরিমানই বেশি। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় রয়েছি। ৪ টি এনজিওতে ঋণ রয়েছে। মাস শেষে ঠিকমত এনজিওর কিস্তি দিতে পারছি না।

নদীতে মাছ কম পাওয়ার বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা  তানভির আহমেদ বলেন, নদীর মোহনা অঞ্চলে পলি জমার কারণে নদীতে গভীরতা কমে গেছে। যার জন্য নদীতে স্রোতও কমে গেছে। এর জন্য বর্তমানে যে পরিমান মাছ নদীতে আসার কথা তা আসতে পারছে না। যার জন্যই নদীতে মাছ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নদীর এসব স্থান যদি ড্রেজিং করা হয় তাহলেই নদীতে আগের মত মাছ পাওয়া যাবে।

ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন বলেন, সেপ্টম্বর মাসে শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদি। তখন জেলেদের এমন সংকট থাকবে না।
মনজুর রহমান/ইবিটাইমস

Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

সাগরে মিলছে ইলিশ, নদীতে সংকট

আপডেটের সময় ১০:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে জেলেরা

ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার মেঘনা নদীতে ইলিশের অকাল থাকলেও সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়ৎগুলোও। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মেঘনায়। সারাদিন জাল বেয়ে কাঙ্খিত পরিমান মাছের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা।  অন্যদিকে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আরো বেশি বিপাকে তারা।

জেলেরা জানান, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিলো। অন্যদিকে ৬৫ দিনের জন্যও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। নদী ও সাগরে প্রায় সাড়ে ৪ মাছের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘুরে দাড়াতেই নদী ও সাগরে নেমে পড়েন জেলেরা। গত এক সপ্তাহ ধরে সাগরে প্রচুর পরিমানে ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা কিন্তু নদীতে গিয়ে অনেক জেলেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার হঠাৎ করে ডিজেলের দাম বাড়াতে অনেকটাই বিপাকে পড়ছেন উপকূলের জেলেরা।

জেলে শহিজল ও মনির বলেন, এ বছর  ভরা মৌসুমেও মেঘনায়   ইলিশেরর দেখা মিলেনি। তবুও আমরা অপেক্ষায় ছিলাম নদীতে মাছ ধরা পড়তে কিন্তু এখনও মিলছে না ইলিশ।

ভোলার ইলিশা, তুলাতলী, জোড়খাল, নাছির মাঝি, লালসোহনের বাত্তির খাল সহ বেশ কয়েকটি আড়ৎ ঘুরে জানা গেল, আড়ৎ যেসব মাছ কেনা-বেচা হচাছে তা সবই সাগরের মাছ, তবে তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।

আড়ৎদার মাসুদ রানা বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা না পড়লেও সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে। এ অবস্থা চললে জেলেরা কিছুটা হলেও সংকট দুর করতে পারবেন।

লালমোহন উপজেলার বাত্তিরখাল মৎস্য ঘাটের  এলাকার জেলে শহিজল হক বলেন, নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সাগরে কিছু ইলিশ থাকলেও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সাগরে গিয়ে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে প্রতিবার ফিরে দেখা যায় লাভের চাইতে লোসকানের পরিমানই বেশি। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম দুর্দশায় রয়েছি। ৪ টি এনজিওতে ঋণ রয়েছে। মাস শেষে ঠিকমত এনজিওর কিস্তি দিতে পারছি না।

নদীতে মাছ কম পাওয়ার বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা  তানভির আহমেদ বলেন, নদীর মোহনা অঞ্চলে পলি জমার কারণে নদীতে গভীরতা কমে গেছে। যার জন্য নদীতে স্রোতও কমে গেছে। এর জন্য বর্তমানে যে পরিমান মাছ নদীতে আসার কথা তা আসতে পারছে না। যার জন্যই নদীতে মাছ স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। নদীর এসব স্থান যদি ড্রেজিং করা হয় তাহলেই নদীতে আগের মত মাছ পাওয়া যাবে।

ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসাইন বলেন, সেপ্টম্বর মাসে শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদি। তখন জেলেদের এমন সংকট থাকবে না।
মনজুর রহমান/ইবিটাইমস