ভিয়েনা ০৮:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় আপাতত ভিয়েনায় কোন নতুন বিধিনিষেধ আসছে না

  • EuroBanglaTimes
  • আপডেটের সময় ০৩:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
  • ১৬ সময় দেখুন

অস্ট্রিয়ায় পুনরায় করোনার নতুন প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই এই গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়ে দৈনিক সংক্রমণ ৩০,০০০ হাজারের পূর্বাভাস দিয়েছেন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পুনরায় করোনার নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও কোন নতুন বিধিনিষেধ আসছে না। তবে রাজধানী ভিয়েনার গণপরিবহনে FFP2 অথবা N মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র ভিয়েনার গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার নিয়ম ছাড়া অস্ট্রিয়ার আর কোথাও করোনার কোনও প্রকার বিধিনিষেধ নাই।

এপিএ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েনার মেয়র ও রাজ্য গভর্নর মিখাইল লুডভিগ (SPÖ) বলেন, ভিয়েনা বারবার তার নিজস্ব এবং কঠোর সতর্কতা
মূলক ব্যবস্থা মেনে চলছে। ইউরোপের শহরের মধ্যে সম্ভবত ভিয়েনাই একমাত্র শহর যেখানে এখনও গণপরিবহনে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। তাও আবার
N অথবা FFP2 মাস্ক।

ভিয়েনার মেয়র মিখাইল লুডভিগ আরও জানান, আমি সব সময়ই আমাদের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চলি। যদিও এর জন্য
আমাকে অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রচন্ড চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বার বার। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, অস্ট্রিয়ার ফেডারেল রাজধানী ভিয়েনায় উদ্বেগের সাথে করোনার সংখ্যা বাড়ছে।

অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার রাস্ট্রায়ত্ব টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েনার স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সিলর পিটার হ্যাকার (SPÖ) বলেন,ভিয়েনায়, করোনা  ভাইরাসের নতুন সংক্রমণের বিস্তারের সংখ্যা উদ্বেগের সাথে দেখা হচ্ছে। ORF “রিপোর্ট”-এ, ভিয়েনার সিটি কাউন্সিলর ফর হেলথ পিটার হ্যাকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একটি হাতিয়ার হিসেবে কোয়ারেন্টাইন বাতিল করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কেবল সংক্রমণকে “চালানো” দেওয়া যথেষ্ট নয়, তিনি খুঁজে পেলেন। অনেক কোম্পানি মনে করেছিল যে অনেক কর্মচারী অনুপস্থিত ছিল।

তবে তিনি রাজধানী ভিয়েনায় পুনরায় করোনার বিধিনিষেধ বা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন। হ্যাকার সম্প্রতি সন্দেহ করেছিল যে অস্ট্রিয়া জুড়ে সীমাবদ্ধ ব্যবস্থাগুলি পুনরায় চালু করার প্রয়োজন হবে। মুখোশ পরার বাধ্যবাধকতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরীক্ষা ব্যবস্থাকে “আপগ্রেড” করাও প্রয়োজন, তিনি বলেছিলেন।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ১২,৫০৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৪,০৭১ জন।

অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২,৭০৯ জন,OÖ রাজ্যে ১,৬৭৩ জন,Steiermark রাজ্যে ১,৪৪৬ জন, Tirol রাজ্যে ৮২১ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৫৬৫ জন,Salzburg রাজ্যে ৫৪৩ জন,Burgenland রাজ্যে ৪১১ জন এবং Kärnten রাজ্যে ২৭০ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১২৪ জন এবং করোনার প্রতিষেধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১,৮০২ জন।

বর্তমানে করোনার প্রতিষেধক টিকার বৈধ সনদের অধিকারী ৫৫,৬৩,৪৬৪ জন,যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬১,৬ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪,১৫,৯৫৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮,৭৭৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪৩,০০,৯৪৩ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৬,২৩১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৪৭ জন এবং হাসপাতালে করোনার সাধারণ বেডে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৫৬ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস

জনপ্রিয়
Address : Erlaaer Strasse 49/8/16 A-1230 Vienna,Austria. Mob : +43676848863279, 8801719316684 (BD) 8801911691101 ( Ads) Email : eurobanglatimes123@gmail.com
Translate »

করোনায় আপাতত ভিয়েনায় কোন নতুন বিধিনিষেধ আসছে না

আপডেটের সময় ০৩:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২

অস্ট্রিয়ায় পুনরায় করোনার নতুন প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই এই গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়ে দৈনিক সংক্রমণ ৩০,০০০ হাজারের পূর্বাভাস দিয়েছেন

ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পুনরায় করোনার নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও কোন নতুন বিধিনিষেধ আসছে না। তবে রাজধানী ভিয়েনার গণপরিবহনে FFP2 অথবা N মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র ভিয়েনার গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়ার নিয়ম ছাড়া অস্ট্রিয়ার আর কোথাও করোনার কোনও প্রকার বিধিনিষেধ নাই।

এপিএ এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েনার মেয়র ও রাজ্য গভর্নর মিখাইল লুডভিগ (SPÖ) বলেন, ভিয়েনা বারবার তার নিজস্ব এবং কঠোর সতর্কতা
মূলক ব্যবস্থা মেনে চলছে। ইউরোপের শহরের মধ্যে সম্ভবত ভিয়েনাই একমাত্র শহর যেখানে এখনও গণপরিবহনে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। তাও আবার
N অথবা FFP2 মাস্ক।

ভিয়েনার মেয়র মিখাইল লুডভিগ আরও জানান, আমি সব সময়ই আমাদের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চলি। যদিও এর জন্য
আমাকে অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রচন্ড চাপের মুখে পড়তে হয়েছে বার বার। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, অস্ট্রিয়ার ফেডারেল রাজধানী ভিয়েনায় উদ্বেগের সাথে করোনার সংখ্যা বাড়ছে।

অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার রাস্ট্রায়ত্ব টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েনার স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সিলর পিটার হ্যাকার (SPÖ) বলেন,ভিয়েনায়, করোনা  ভাইরাসের নতুন সংক্রমণের বিস্তারের সংখ্যা উদ্বেগের সাথে দেখা হচ্ছে। ORF “রিপোর্ট”-এ, ভিয়েনার সিটি কাউন্সিলর ফর হেলথ পিটার হ্যাকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একটি হাতিয়ার হিসেবে কোয়ারেন্টাইন বাতিল করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কেবল সংক্রমণকে “চালানো” দেওয়া যথেষ্ট নয়, তিনি খুঁজে পেলেন। অনেক কোম্পানি মনে করেছিল যে অনেক কর্মচারী অনুপস্থিত ছিল।

তবে তিনি রাজধানী ভিয়েনায় পুনরায় করোনার বিধিনিষেধ বা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন। হ্যাকার সম্প্রতি সন্দেহ করেছিল যে অস্ট্রিয়া জুড়ে সীমাবদ্ধ ব্যবস্থাগুলি পুনরায় চালু করার প্রয়োজন হবে। মুখোশ পরার বাধ্যবাধকতা বাড়ানোর পাশাপাশি পরীক্ষা ব্যবস্থাকে “আপগ্রেড” করাও প্রয়োজন, তিনি বলেছিলেন।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ১২,৫০৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন ৪,০৭১ জন।

অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২,৭০৯ জন,OÖ রাজ্যে ১,৬৭৩ জন,Steiermark রাজ্যে ১,৪৪৬ জন, Tirol রাজ্যে ৮২১ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৫৬৫ জন,Salzburg রাজ্যে ৫৪৩ জন,Burgenland রাজ্যে ৪১১ জন এবং Kärnten রাজ্যে ২৭০ জন নতুন করে করোনায় সংক্রামিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১২৪ জন এবং করোনার প্রতিষেধক টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১,৮০২ জন।

বর্তমানে করোনার প্রতিষেধক টিকার বৈধ সনদের অধিকারী ৫৫,৬৩,৪৬৪ জন,যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬১,৬ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪,১৫,৯৫৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮,৭৭৯ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৪৩,০০,৯৪৩ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯৬,২৩১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৪৭ জন এবং হাসপাতালে করোনার সাধারণ বেডে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৫৬ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবিটাইমস