ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার বৈচন্ডি গ্রামের রতন কুমার রয়ের মাছের চাষ বাধাগ্রস্থ করছে একই এলাকার পরবিত্তলোভি একটি চক্র। এরা বার বার রতন রায়ের চাষ করা মাছের খামার থেকে জেরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাথে সরকার দলের এক শ্রেণীর নামধারি ব্যাক্তিরা মদত দিচ্ছে। ফলে রতন কুমার রায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই চক্রটি আইন-আদালতের নির্দেশও তোয়াক্কা করে না।
একই এলাকার এই চক্রের শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ফরুক আকন, শহিদুল আকন, আবুল হোসেন হাওলাদার, জসিম হাওলাদার ও রুবেল হাওলাদারের সমন্বয়ে এই চক্রটি রতন রায়ের বৈচন্ডি মৌজার এস.এ-৭৪০ খতিয়ানের ৩.৪৬ একরের মাছের ঘের থেকে অবৈধ পেশি শক্তি খাটিয়ে এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে। তারা মাছের ঘেরের জায়গাটি ভোগ দখলের পায়তারা হিসেবে রাতন রায়কে হয়রানি করে চলেছে। এই চক্রটি জাল নিলামের কাগজপত্র রয়েছে বলে দাবী করলেও আদালতে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং রাতন রায়ের পক্ষে মালিকানা স্বত্ত্ব বজায় রয়েছে।
রাতন কুমার রায় জানান, ৬ বছর ধরে সে মাছের চাষ করে আসছে এবং মাছ বাজারজাত করার পর্যায় এলে তারা লোকজন নিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বারবার পুলিশ-প্রশাসন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে সহায়তা চাইতে হচ্ছে। পুলিশ তাড়া দিলে এই পরবিত্তলোভিরা কিছুদিন থেমে থেকে পুনরায় একই কাজ করে চলেছে।
পরবিত্তলোভি চক্রের আবুল হাওলাদারের পিতা মালেক হাওলাদার দাবী করেন তাদের এই জায়গার নিলাম ক্রয়ের কাগজপত্র রয়েছে কিন্তু তারা ভুয়া জাল-জালিয়াতির কাগজপত্র পুলিশ ও আইন-আদালতে দাখিল করতে পারছে না।
একই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মনিরুজ্জামান মনির জানান, এই জায়গার প্রকৃত মালিক রতন কুমার রায়। তিনি ৬ বছর ধরে মাছের চাষ করে আসছে। তার প্রতিপক্ষ পরবিত্তলোভি চক্র পেশি শক্তি প্রদর্শন করে বারবার মাছের ঘের থেকে মাছ ধরে নিয়ে রতন কুমার রায়কে হয়রানি করে চলেছে।
নলছিটি বহুমুখি মৎস হ্যাচারি ফার্মের মালিক আলো চৌধুরি জানান, রতন কুমার রায় তার কাছ থেকে মাছ চাষের জন্য মাছের পোনা ক্রয় করছে এবং বারবার তার মাছের চাষ থেকে মাছ ধরে নেয়ায় রতন কুমার রায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে মাছের পোনা বিক্রির টাকাও দিতে পারছে না।
এলাকায় সরজমিনে ইউরো বাংলা টাইমসের প্রতিনিধি গেলে, এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এই চক্রটি একটি জামাত পন্থি ও তারা সরকারি দলের কিছু নামধারি ব্যাক্তির পরোক্ষ মদতে সংখ্যালঘু বিধায় রতন কুমার রায়কে হয়রানি ও নিযার্তন করে এই জায়গাটি দখলের পায়তারা করছে।
ঝালকাঠি /ইবিটাইমস